যে কোনও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। বিবাদ বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। কাজকর্মে উন্নতির ... বিশদ
জানা গিয়েছে, জেজু এয়ারলাইন্সের 7C2216 বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান শহরে আসছিল। আজ, রবিবার সকালে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করার পর বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান পাইলট। যার ফলে বিমানবন্দরেই থাকা একটি পাঁচিলে গিয়ে সোজা ধাক্কা মারে বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় তাতে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে (ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি বর্তমান) বিমানটি রানওয়ের উপরেই ছিল। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে আচমকাই সরে যায়। পরে এয়ারপোর্টের পাঁচিলে গিয়ে ধাক্কা মারে। যার ফলে মুহূর্তে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করে দমকল বাহিনী। সূত্রের খবর, ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৭৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২ জনকে। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। কী কারণে ঘটল দুর্ঘটনাটি? তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহণ মন্ত্রক।
তবে এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বেশ কিছু তত্ত্ব প্রকাশ্যে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ল্যান্ডিং গিয়ারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি স্বাভাবিক অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই পাইলট ‘বেলি ল্যান্ডিং’ পদ্ধাতির মাধ্যমে বিমানটিকে অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন। তখনই বিমাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কী এই ‘বেলি ল্যান্ডিং’? এটি হল এক প্রকার জরুরি অবতরণ, যেখানে বিমান তার ল্যান্ডিং গিয়ার প্রসারিত না করেই মাটি স্পর্শ করে। অর্থাৎ বিমানটি সরাসরি তার নীচের অংশের মাধ্যমে অবতরণ করে। ল্যান্ডিং গিয়ারে যখন কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি তৈরি হয়, সেই পরিস্থিতিতে পাইলট ‘বেলি ল্যান্ডিং’ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এছড়াও তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অবতরণের আগে বিমানটি নির্ধারিত গতির অনেকটাই ঊর্ধ্বে ছিল। এর জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, একটি ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বর্তমান) দেখা গিয়েছে, অবতরণের সময়ে বিমানটির সঙ্গে একটি পাখির সংঘর্য হয়। এরপরই বিমানটির ডানদিকের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায় এবং দুর্ঘটনাটি ঘটে। মুয়ানের দমকল প্রধান লি জিয়ং হুয়ান বলেন, “খারাপ আবহাওয়ার পাশাপাশি বিমানটির সঙ্গে একটি পাখির সংঘর্ষের ফলেই এই দুর্ঘটনা। তবে যৌথ তদন্তের পরই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ বলা সম্ভব হবে।”
আজ, রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি কানাডার হালিফাক্স বিমানবন্দরেও একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অবতরণের সময়ে বিমানটিতে আচমকা আগুন লেগে যায়। তবে এই দুর্ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।