চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার থেকেই ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট ও দিনাজপুরের বীরগঞ্জে তিনটি মন্দিরে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। হালুয়াঘাটের শাকুয়াই এলাকার বন্দেরপাড়া মন্দিরের দু’টি বিগ্রহ ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি বিলডোরা এলাকায় পলাশকান্দা কালীমন্দিরও ছিল দুষ্কৃতীদের আক্রমণের লক্ষ্য। বিগ্রহ ধ্বংস করা হয়েছে সেখানেও। ঘটনায় মন্দির কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে আলাউদ্দিন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। হামলা চলেছে বীরগঞ্জের ঝাড়বাড়ি শ্মশান কালীমন্দিরেও। সেখানে পাঁচটি বিগ্রহ ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের দাবি, ভাঙচুর চালানোর সময় দুষ্কৃতীরা ইসকন বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সভাপতি জনার্দন রায়।
শেষ ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার গভীর রাতে। আক্রমণের লক্ষ্য ছিল নাটোরের বড়হরিশপুরের কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান। সেখানকার কালীমন্দিরে ভাঙচুর চালানোর পর খুন করা হয় পুরোহিত তরুণচন্দ্র দাসকে (৫৫)। শনিবার সকালে তাঁর হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, মহাশ্মশানের মন্দিরেই থাকতেন তরুণচন্দ্র। এদিন সকালে অন্য পুরোহিতরা সেখানে গিয়ে দেখেন, মন্দিরের দানবাক্স ও ভাণ্ডার ঘরের তালা ভাঙা। আর ভোগ ঘরের বারান্দায় পুরোহিতের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। একের পর এক মন্দির ভাঙচুর ও পুরোহিতের প্রাণহানি নিয়ে এদিন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি বলেন, ‘ইউনুস সরকার দায়িত্বে আসার পর একশো দিন পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ হিন্দুদের উপর অত্যাচার কমছে না। আশা করেছিলাম, ভারতের বিদেশ সচিব হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বার্তা দিয়ে আসার পর অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় আমরা স্তম্ভিত।’ ওপারের পরিস্থিতি নিয়ে মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মতুয়ারা ঐক্যবদ্ধভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করছেন।