ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েনের উল্লেখ করা হয়েছে। ওই দেশগুলির সঙ্গে বরাবর ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সালে নেপালের সাংবিধানিক সঙ্কটের সময় ভারতের অবস্থান, অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ আটকে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রতিকূল প্রভাব ফেলেছে। তারপর থেকেই নেপাল চীনের দিকে ঝুঁকেছে। আর তা নয়াদিল্লির কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে বড়সড় পালাবদল ঘটে গিয়েছে। প্রবল আন্দোলনের জেরে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকার ক্ষমতায়। হাসিনার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল ভারতের। কিন্তু হাসিনা পরবর্তী পর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ভালোমতোই চিড় ধরেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর কারণ হিসেবে জাপানি সংবাদমাধ্যম ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে তুলে ধরেছে। বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির জেরে ভারতের উপর আস্থা হারাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই প্রভাব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়ছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে বলে দাবি নিক্কেইয়ের। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্রের আর্থিক সঙ্কটের সময় অর্থ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু মূল পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে লগ্নির হাত ধরে চীনের প্রভাব বাড়ছে শ্রীলঙ্কায়। মালদ্বীপের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের জটিলতার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
নিক্কেইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের শীতলতাকে কাজে লাগাচ্ছে চীন। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াজুড়েই তারা কৌশলগত লগ্নি করছে এবং অংশিদারিত্ব বাড়াচ্ছে। আঞ্চলিক কূটনীতির জায়গায় আন্তর্জাতিক অংশিদারিত্ব বৃদ্ধির দিকে জোর দিয়েছে নয়াদিল্লি। কোয়াড জোটের মাধ্যমে আমেরিকা, জাপান
ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার উপর অগ্রাধিকার দিয়েছে ভারত। কিন্তু চীনের প্রভাবকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষেত্রে উদাসীনতা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের অবস্থানকে দুর্বল করছে।