পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
জ্যোতির্বিজ্ঞানে গণনার ক্ষেত্রেই ‘ডেসিলিয়ন’–এর ব্যবহার করেন বিশেষজ্ঞরা। গুগলকে সেই ‘মহাজাগতিক’ অঙ্কেই জরিমানা করেছে রাশিয়ার আদালত। কিন্তু কেন? কী অভিযোগ? ইউক্রেনের উপরে হামলার পর রাশিয়ার সরকারি টিভি চ্যানেলগুলিকে নিষিদ্ধ করে দেয় গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব। তাতেই সুন্দর পিচাইয়ের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করে পুতিন সমর্থক ১৭টি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি ছিল, ইউটিউবে তাদের চ্যানেলগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। সেই মামলাতেই সম্প্রতি গুগলকে দোষী সাব্যস্ত করেছে রুশ আদালত। জানিয়েছে, জাতীয় সম্প্রচার আইন ভঙ্গ করেছে এই মার্কিন বহুজাতিক। তাই ২ আনডেসিলিয়ন রুবল বা ২.৫ ডেসিলিয়ন ডলারের জরিমানার পাশাপাশি ৯০ দিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইউটিউবকে। না হলে প্রতিদিন দ্বিগুণ হবে জরিমানার অঙ্ক।
যদিও এত বড় সংখ্যার হিসেব নিজেই গুলিয়ে ফেলেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি সংখ্যাটি উচ্চারণও করতে পারছি না। তবে এটা বলতে পারি, বেনজির এই জরিমানার বিষয়টি প্রতীকী। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে গুগলকে মনোভাব বদলে বাধ্য করতে এই ‘মহাজাগতিক’ শাস্তি।’ রাশিয়ায় গুগলের শাখা সংস্থাকে অবশ্য গত বছরই দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এই অঙ্ক যে বাস্তবসম্মত নয়, তাও মেনে নিয়েছেন তিনি।
২০২০ সাল থেকে রুশ প্রশাসনের রোষানলে পড়েছে গুগল। পুতিনের দেশের দু’টি সরকারি টিভি চ্যানেলকে ইউটিউবে নিষিদ্ধ করার পর থেকে তার সূত্রপাত। মার্কিন সংস্থাটির দৈনিক জরিমানা ধার্য হয় ১ লক্ষ রুবল বা প্রায় ১ হাজার ২৮ ডলার। তবে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর সেই সংঘাত নতুন মাত্রা পায়। তারপর মার্চেই আরটি এবং স্পুটনিক সহ ক্রেমলিনের মদতপুষ্ট বিভিন্ন চ্যানেলকে বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ করে ইউটিউব। এই পদক্ষেপের নেপথ্যে যুক্তি ছিল, হিংসাত্মক ঘটনাকে খাটো করে প্রচার করা হচ্ছে। এটা মার্কিন বহুজাতিকটির কনটেন্ট পলিসির পরিপন্থী। ইউটিউবের এই নীতিতে আটকে গিয়েছিল পুতিনপন্থী একহাজারের বেশি চ্যানেল এবং ১৫ হাজারের বেশি ভিডিও। এতেই চটে লাল মস্কো। এটিকে সংবাদমাধ্যমের উপরে ‘সেন্সরশিপ’ বলে আখ্যা দেয় তারা।