প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরে ইজরায়েলি বাহিনীর নিশানায় ছিল উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হামলায় মৃতদের মধ্যে রয়েছে কমপক্ষে ১২ জন মহিলা ও ২০টি শিশু। এই করুণ দৃশ্য দেখে ভেঙে পড়েছেন কামাল আদোয়ান হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ হোসাম আবু সাফিয়া। তাঁর কথায়, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।’ ইজরায়েলি বাহিনীর অবশ্য দাবি, শুধু হামাস জঙ্গিদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।
হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ বিলির কাজেও রাশ টানতে চাইছে ইজরায়েল। সোমবার এব্যাপারে দু’টি আইন পাশ করেছে ইজরায়েলি পার্লামেন্ট। আইন অনুযায়ী, ইজরায়েলের ভূখণ্ডে আর ত্রাণ বিলি করতে পারবে না প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের জন্য তৈরি রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ সংস্থা (ইউএনআরডব্লুএ)। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইজরায়েল সরকার। নেতানিয়াহু প্রশাসনের এই পদক্ষেপের নিন্দায় সরব একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। এবিষয় ব্রিটিশ সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইডের সদস্য উইলিয়াম বেলের মন্তব্য, ‘শীতকালে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠবে। এই অবস্থায় গাজায় ত্রাণ বিলি বন্ধের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক ও নিষ্ঠুর।’ ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডারের কটাক্ষ, ‘তাহলে শিশুহত্যার এক নতুন উপায় খুঁজে পাওয়া গেল।’
এরইমধ্যে মঙ্গলবার লেবাননে অভিযান গুটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী। আইডিএফ জানিয়েছে, লেবাননের অভিযানের লক্ষ্যপূরণ হয়ে গিয়েছে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেউত্তর ভূখণ্ডে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছে নেতানিয়াহুর দেশ।