হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
প্রথম দিন পূর্বতন বাইডেন সরকারের সমালোচনা করে ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভোটার সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমেরিকা কেন ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার করে দিচ্ছে? বিশ্বের সবথেকে বেশি ট্যাক্স আদায় করে ভারত। অর্থপ্রদানের দরকারই নেই। তোলপাড় শুরু হয় ভারত ও আমেরিকায়। দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ শুক্রবার ট্রাম্পের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, যে অর্থ ভারতকে দেওয়া হচ্ছে, সেটা ঘুষ ছাড়া কিছু নয়। আবার আলোড়ন। ঘুষ? কাকে ঘুষ? কেন ঘুষ? এবার শনিবার জোড়া রহস্য! সাতসকালে ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রে দেখা গেল তাদের অন্তর্তদন্ত—সেখানে বলা হচ্ছে, ভারতকে অনুদান দেওয়ার এমন কোনও মার্কিন সরকারি প্রকল্পই নেই! কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বয়ং ট্রাম্প বললেন, ‘আমার বন্ধু ভারতের মোদিকে এই ২১ মিলিয়ন ডলার কেন দেওয়া হচ্ছে, বুঝতেই পারছি না। ভোটার বাড়ানোর জন্য?’ ট্রাম্পের ব্যঙ্গ, ‘আমারও তো ভোটার বাড়ানো দরকার! আমাকে তো কেউ কিছু দিচ্ছে না!’
রহস্য কেন? কারণ ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, এরকম কোনও সরকারি অনুদান প্রকল্প নেই। আবার স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্দিষ্ট অঙ্ক উল্লেখ করে বলছেন, ১৮২ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। তার মানে সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে ‘অনুদান’? বিজেপি কিন্তু বাংলাদেশের ২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলারের সঙ্গে ভারতের ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার অনুদান নিয়ে সংশয়ের জাল তৈরি করছে। তাদের সাফাই, ট্রাম্প এই তথ্য গুলিয়ে ফেলছেন। প্রশ্ন হল, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেন সরাসরি বলেছেন যে, নরেন্দ্র মোদিকে টাকা দেওয়া হয়েছে? শনিবার কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, ‘মোদি এখন নীরব কেন? শুক্রবার মোদি সরকারের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, এই অনুদানের ঘটনা নাকি প্রচণ্ড উদ্বেগজনক ও এর তদন্ত হওয়া উচিত। এবার তাহলে তদন্ত হোক, মোদিকে কেন ওই অনুদান দেওয়া হল!’ খেরা বলছেন, ‘২০২১ সাল থেকে মোট ৬৫০ মিলিয়ন ডলার ভারতে এসেছে। এই অর্থ মোদি সরকার কিংবা বিজেপি কী কারণে গ্রহণ করল? কেন মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় ভোটার সংখ্যা লক্ষ লক্ষ বেড়ে গেল? মোদি কেন তাঁর বন্ধু ট্রাম্পের দাবি নস্যাৎ করছেন না?’ স্বাভাবিকভাবে প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি ও মোদি সরকার।