হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
পর্যটন মন্ত্রক বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার করে থাকে বছরভর। সেই তালিকায় তারা বাংলার নানা জায়গাও রাখে। কিন্তু উৎসবের প্রশ্নে তারা মুখ ফিরিয়েছে বাংলা থেকে। ‘উৎসব’ নামে একটি পোর্টাল তারা চালু করেছে, যেখানে ক্যালেন্ডারের তারিখ ধরে ধরে আঞ্চলিক স্তরের পার্বণগুলির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে শুধু যে নামকরা ও ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলিই রাখা হয়েছে, তেমন নয়। তুলনামূলক ক্ষুদ্র পরিসরের পরব বা উৎসবগুলিও ঠাঁই পেয়েছে সেই ক্যালেন্ডারে। কোনও রাজ্যের আঞ্চলিক বইমেলা যেমন ঠাঁই পেয়েছে, তেমনই রয়েছে গোলাপ উৎসবের মতো অনুষ্ঠানও। তালিকায় যেমন আছে গুজরাতের সোমনাথ নৃত্য উৎসব, তেমনই আছে ব্রহ্মপুত্র কার্নিভাল বা চান্দেরি ফেস্টিভ্যাল। কচ্ছের রন উৎসব থেকে শুরু করে কামাখ্যা হেরিটেজ ওয়াক রয়েছে তালিকায়। শুধু উৎসবের নাম লিখেই ক্ষান্ত হয়নি কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট এলাকায় কীভাবে পৌঁছনো যায়, কী কী দর্শনীয় স্থান আছে, তারও হদিশ দিচ্ছে তারা। এবার যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণকুম্ভ মেলা চলছে, সেটিও বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেওয়া হয়েছে ক্যালেন্ডারে।
বাংলা কি তালিকা থেকে একেবারেই বাদ? ওই পোর্টালটিতে দেশের সেরা উৎসবগুলিকে আলাদা করে তুলে ধরেছে পর্যটন মন্ত্রক। সেই তালিকায় যেমন আছে দেওয়ালি ও দীপাবলি, তেমনই রয়েছে নবরাত্রি বা হোলির মতো উৎসব। হোলির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসবের উল্লেখ করা হয়েছে। রয়েছে বসন্তোৎসবের কিছু বর্ণনাও। অথচ সেই উৎসবকে জায়গা দেওয়া হয়নি ক্যালেন্ডারে। অথচ, দিল্লি হোক বা গুজরাত, কোথায় কোথায় বসন্তোৎসব হয়, তার হিসেব দেওয়া হয়েছে ক্যালেন্ডারে। একইভাবে দেশজুড়ে কোথায় কোথায় নবরাত্রি উৎসব উদযাপিত হয়, তার তথ্যও দেওয়া হয়েছে। অসুরদলনী দুর্গার মাহাত্ম্য বর্ণনা থেকে শুরু করে বিজয়া দশমীর ব্যাখ্যা পর্যন্ত দেওয়া থাকলেও, ইউনেস্কো স্বীকৃত বাংলার শারদোৎসবকে জায়গা দেওয়া হয়নি কোথাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি সরকারের থেকে এটাই কাম্য। কারণ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিকৃত করার রেওয়াজ তাদের আছে। সেখানে রাজনৈতিক কারণে যদি বাংলার ঐতিহ্য বাদ পড়ে, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। প্রসঙ্গত, এর আগে পর্যটন মন্ত্রকেরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ক্যালেন্ডারে রবীন্দ্রজয়ন্তী রাখা হয়েছিল আগস্ট মাসে। তাই অনেকে বলছেন, ওই ধরনের ভুলের থেকে কোনও তথ্য না দেওয়াই শ্রেয়।