হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
নিশিকান্ত দুবের নেতৃত্বাধীন স্থায়ী কমিটিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ‘ক্ষতিকর’ কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর ও কার্যকরী নিয়ম কানুন তৈরির দাবি জোরালো হচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি মন্ত্রকের নজরে এসেছে। সেকথা মাথায় রেখেই বর্তমান আইন খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নয়া আইনি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার দিকটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। রণবীর এলাহাবাদিয়ার ওই আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে নিন্দার ঝড় ওঠায় সুপ্রিম কোর্ট, বহু হাইকোর্ট, সাংসদ ও জাতীয় মহিলা কমিশনের মতো বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলিও এবিষয়ে সরব হয়েছে।
বিতর্কিত কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে বর্তমান আইনগুলিতে সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে কি না, ১৩ ফেব্রুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে তা জানতে চেয়েছিল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি কমিটির পরবর্তী বৈঠক রয়েছে। তার আগেই মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, প্রয়োজনীয় আলোচনার পর এবিষয়ে বিস্তারিত নোট পেশ করা হবে।
আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে এলাহাবাদিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা দায়ের হয়। গ্রেপ্তারি থেকে রক্ষাকবচ দিলেও ওই ইউটিউবারকে ভর্ৎসনা করতে ছাড়েনি সুপ্রিম কোর্ট। ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলির কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে আইনে ‘ফাঁক’ রয়েছে বলেও পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। ঘটনাচক্রে, চিরাচরিত মুদ্রণ ও বৈদ্যুতিন কনটেন্টগুলি নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট আইন থাকলেও ইন্টারনেটের সৌজন্যে তৈরি হওয়া ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বা ইউটিউবের মতো নয়া মিডিয়া পরিষেবার ক্ষেত্রে সেরকম কোনও সুনির্দিষ্ট আইনি ফ্রেমওয়ার্ক নেই। সেই সূত্রেই আইন সংশোধনের দাবি
তীব্র হচ্ছে।