হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
সরকারি সূত্রের খবর, ‘এক্স’কে রেল নির্দেশ দিয়েছে, শনিবার রাতের ঘটনা সংক্রান্ত মোট ২৮৫টি ‘লিঙ্ক’ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মুছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘নৈতিক দায়িত্ব’ উল্লেখ করে রেল জানিয়েছে, এসব অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ক্রমাগত এইসব ভিডিও দেখতে থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে রেল চলাচলের উপর। কিন্তু কেন এত তাড়াহুড়ো? বিশেষজ্ঞ মহল প্রশ্ন তুলছে, এধরনের একের পর এক ভিডিওতে কি আরও বড় কোনও সত্যি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
শনিবার রাতের ঘটনার পর যেভাবে দীর্ঘক্ষণ রেলের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে সরকারিভাবে অস্বীকার করা হয়েছিল এবং ‘গুজব’ বলে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছিল, সেই প্রেক্ষিত এই ভিডিও মুছে ফেলা সংক্রান্ত নির্দেশ নতুন মাত্রা যোগ করছে। একইসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আজব দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে রেলের অন্দরে। রেল বোর্ড বলছে, রিপোর্ট জমা পড়বে নর্দার্ন রেলের কাছে। তবে এর কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। আর নর্দার্ন রেলের যুক্তি, রিপোর্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট জোনের কোনও ধারণাই নেই। তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল বোর্ড। তাই সবিস্তার জানাবে তারাই। কাউকে আড়াল করতেই কি এমন বেনজির টালবাহানা? গোটা বিষয়টিতে রেলকে তুলোধোনা করে তৃণমূল এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, যাত্রী সুরক্ষা দিতে এরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দশজনের মধ্যে ন’জন নন-সাবার্বান রেল যাত্রীই সেকেন্ড ক্লাস অথবা স্লিপার শ্রেণিতে যাতায়াত করেন। তাঁদের নিয়ে রেলের কোনও মাথাব্যথা নেই। কুম্ভ হোক কিংবা নিউদিল্লি স্টেশন— বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়া হচ্ছে।