হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
কীভাবে হকের সুদ গায়েব করছে পিএফ কর্তৃপক্ষ? সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মূলত দু’ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ পিএফ গ্রাহক। প্রথমত, যাঁরা মাসের ১ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে পিএফ থেকে থোক টাকা তোলেন বা ‘ফাইনাল সেটেলমেন্ট’ করেন, তাঁদের আগের মাস পর্যন্ত সুদ মেলে। যদি ‘সেটেলমেন্ট’ কোনও মাসের ২৫ তারিখ থেকে শেষ তারিখের মধ্যে হয়, তাহলে ওই ক্লেম সেই মাসে ‘প্রসেস’ হয় না। তা হয় পরের মাসের শুরুতে (প্রতি মাসে গড়ে ৫৭ হাজার অ্যাকাউন্টের প্রসেসিং পরের মাসে নিয়ে যাওয়া হয়)। সেক্ষেত্রে পুরো মাসের সুদ মেলে। এভাবে গ্রাহক কত টাকা কম পান? দপ্তরের এক কর্তার কথায়, ‘ধরা যাক, কেউ ২০ লক্ষ টাকা তুলবেন। যদি ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদের হিসেব কষা হয় (শেষ ঘোষিত সুদের হার ৮.২৫ শতাংশ), তাহলে ২৪ দিনের জন্য সুদ পাওনা হয় প্রায় ১১ হাজার টাকা। তা এতদিন পাননি গ্রাহক।’ দ্বিতীয়ত, কোনও একটি অর্থবর্ষে সুদের হার কত, তা ওই বছরের শুরুতে জানা যায় না। শেষে এসে তা ঘোষণা হয়। যেমন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সুদের হার কত হবে, তা জানা যাবে চলতি ফেব্রুয়ারির শেষে। যদি কোনও গ্রাহক সুদের নয়া হার ঘোষণার আগেই থোক টাকা তুলে নিতে চান, তাহলে তিনি সর্বশেষ ঘোষিত সুদের হার অনুযায়ী টাকা পাবেন। কেউ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে অবসর নিয়েছেন। তিনি যে টাকা জমিয়েছেন, তার উপর ঘোষিত ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়েছে। ওই সুদের হার ঘোষিত হয়েছিল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য। ধরা যাক, চলতি অর্থবর্ষের জন্য সুদের হার ঘোষিত হল ৮.৫ শতাংশ হারে। তাহলে ওই ব্যক্তির গত এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আরও ০.২৫ (৮.৫%-৮.২৫%) শতাংশ হারে বাড়তি সুদ প্রাপ্য। কিন্তু তা তিনি পান না।
ইপিএফও’র কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের শেষতম বৈঠকে এই দুই ধরনের বঞ্চনাই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এবার থেকে ‘ফাইনাল সেটেলমেন্ট’-এর দিন পর্যন্তই সুদ দেওয়া হবে। তাই সফ্টওয়্যারের পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিষদের চেয়ারম্যান তথা কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় পিএফ কমিশনার জানিয়েছেন, ‘সাইটস’ প্রকল্প চালু হলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ‘আপডেট’ হয়ে যাবে। তখন বকেয়া সুদ মিলবে। এহেন সুদ-বঞ্চনা নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের সদস্য শিওপ্রসাদ তেওয়ারি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে পরিষদ। প্রযুক্তিতে বদল আনা হচ্ছে। যে সুদ বকেয়া হবে, তা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পরবর্তীকালে সরাসরি চলে যাবে বলে জানানো হয়েছে।’