পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
সামনেই দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। রাজধানী দিল্লিতে শিখ সম্প্রদায়ের ভালো ভোট রয়েছে। মনমোহন সিং ছিলেন দেশের প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রী। তাই ভোটের আগেই এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি কিছু ঘোষণা করে চমক দিলেও দিতে পারেন। রাজঘাট সমাধিস্থলে মহাত্মা গান্ধী সহ ১৭ ব্যক্তিত্বের সমাধি রয়েছে।
মনমোহন সিংই ইতিহাসে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যাঁর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হয়েছে সাধারণ শ্মশান নিগমবোধ ঘাটে। যা নিয়ে যথেষ্ট ব্যাকফুটে মোদি সরকার। ঘটনা হল, ২০১৩ সালের ১৬ মে মনমোহন সিংয়ের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, রাজঘাট সমাধি কমপ্লেক্সে একতাস্থলের কাছে তৈরি হবে ‘রাষ্ট্রীয় স্মৃতি।’ যেখানে বর্তমান এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্র, প্রধানমন্ত্রীর মতো জাতীয়স্তরের নেতা প্রয়াত হলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
এ ব্যাপারে ২০০০ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ির সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তকেই মেনে নিয়েছিলেন মনমোহন সিং। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর বিবৃতি বলা হয়েছিল, ‘দু হাজার সালেই ক্যাবিনেটে ঠিক হয়েছিল, রাজঘাট সমাধি কমপ্লেক্সে স্থানাভাব। তাই সেখানে আর প্রয়াত কোনও জাতীয় নেতার সমাধি বানানো হবে না। রাষ্ট্রীয় স্মৃতিতে হবে অন্ত্যেষ্টি।’ কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অটলবিহারী বাজপেয়ির নামে সমাধিস্থল গড়েন মোদি। সদৈব অটল। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট বাজপেয়ি মারা যান। সমাধিস্থল উদ্বোধন হয় ওই বছরই ২৫ ডিসেম্বর। বাজপেয়ির জন্মদিনে।
সেই নিয়মভাঙার ‘উদাহরণ’ সামনে রেখেই মোদি সরকারের উপর চাপ জারি রেখেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র পবন খেরা সোমবার ফের বলেছেন, ‘কেন রাজঘাটে কমপ্লেক্সে ডঃ মনমোহন সিংয়ের অন্ত্যেষ্টি হল না?’ বস্তুত, দিল্লি ভোটের আগে শিখ সম্প্রদায়ের মন জয়ে মনমোহন আবেগকে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস।