চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
কী বলা হয়েছে সেই রিপোর্টে? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বছরের পর বছর ধরে বিপুল লোকসান করে চলেছে দেশের নানাবিধ সরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা (ডিসকম)। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। তা ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) আড়াই শতাংশ। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি রাজ্যের আর্থিক বোঝার প্রধানতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর সমাধানে একঝাঁক দাওয়াই দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার মধ্যে প্রধান সুপারিশই হল—‘বিদ্যুতের দাম বাড়াও।’ বলা হয়েছে, বিদ্যুৎক্ষেত্রে সংস্কারের বহু চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থাগুলির লোকসানের কারণেই মুখ থুবড়ে পড়ছে সেই উদ্যোগ। এ জন্য তিনটি উপসর্গকে মূলত দায়ী করা হয়েছে। এক, বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকাঠামো উন্নয়ন না করা। দুই, সংযোগ ও সরবরাহ খাতে লোকসান না কমানো। এবং তিন, উৎপাদন ও সরবরাহ বাবদ প্রকৃত মাশুলের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলের সমন্বয় না থাকা। এই সমস্যাগুলি সমাধানে রাজ্য সরকারি সংস্থাকেই বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলির বকেয়ার পরিমাণ বেড়ে চলেছে গড়ে ৯ শতাংশ হারে। অর্থাৎ সরবরাহকারী সংস্থা বিদ্যুৎ কিনছে। সরবরাহ করছে। বিল বাবদ গ্রাহকদের থেকে টাকা আদায় করছে। কিন্তু উৎপাদক সংস্থাকে যথাযথ টাকা মেটাচ্ছে না। আর তার কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে যে, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিকাঠামো চালাতে যে ব্যয় হয়, সেই তুলনায় মাশুল আদায় নেই। অন্যদিকে বহু রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ বিলে কম-বেশি ভর্তুকি প্রদান করে। তাতেও সরাসরি আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যগুলির। প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন লোকসান কমাতে হবে বলে পরামর্শ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। তাদের সুপারিশ, গ্রাহকের উপর আরও বেশি করে চাপানো হোক বিদ্যুৎ মাশুল।
দীর্ঘদিন মোদি সরকারের অন্যতম প্রধান অ্যাজেন্ডা বেসরকারিকরণ। সেই সুরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, বিদ্যুৎ সেক্টরকে আরও বেশি করে বেসরকারিকরণ এবং প্রতিযোগিতামূলক আবহ দেওয়াই সঙ্গত।