চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
শাদকে জেরা করে অসম এসটিএফ জেনেছে, তার এক আত্মীয় এবিটি চিফ জসিমউদ্দিন রহমানির ডান হাত। রহমানির সমস্ত নির্দেশ তার ‘পিএ’র মাধ্যমে আসে। এবিটি চিফের সোশ্যাল মিডিয়া সে নিয়ন্ত্রণ করছে। জসিমউদ্দিন তার বিশ্বস্ত অনুচরকে নির্দেশ দেয় শাদকে ভারতে পাঠাতে। এ রাজ্যের সীমান্তের এক অরক্ষিত অংশ দিয়ে শাদ ভারতে ঢোকে। হরিহর পাড়ায় এসে মিনারুলের কাছে আশ্রয় নেয়। গোয়েন্দারা বলছেন, জাল নথি তৈরির পর পাসপোর্টের জন্য সে আবেদন করে। নথি যাচাই না করে তাকে পাসপোর্ট পেতে সাহায্য করে বহরমপুর কেন্দ্রের এক কর্মী। একইসঙ্গে মিনারুল হরিহর পাড়ার এক পুলিস কর্মীকে ম্যানেজ করে। ওই পুলিস কর্মী নথি যাচাই না করে তথ্য আপলোড করে দেন বলে শাদকে জেরা করে জেনেছে অসম এসটিএফ। এরপর সে মিনারুলকে সঙ্গে নিয়ে পুরোদমে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত শুরু করে।
তদন্তে উঠে এসেছে, শাদকে ‘সমন্বয়কারী’র দায়িত্ব দেওয়া হয়। যে সমস্ত এলাকায় জেএমবি সংগঠন একসময় শক্তিশালী ছিল, সেই জায়গায় সে যাতায়াত শুরু করে। তার সঙ্গে থাকত মিনারুল ও আব্বাস। শাদ তদন্তকারীদের জানিয়েছে, মিনারুলও ২০১৬ ও ২০১৮ তে বাংলাদেশ গিয়ে জেএমবি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছে। শাদকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণ ভারতে বসে যাওয়া জেএমবি সদস্যের সে মোটিভেট করছিল। দক্ষিণ ভারত ও উত্তর পূর্ব ভারতে প্রচুর বাংলাভাষী লোকজন রাজমিস্ত্রির কাজ করে। তাদের মগজ ধোলাই করে সংগঠনে জুড়তে সে রাজমিস্ত্রির কাজ নিয়েছিল। সংগঠনের কাজ কতদূর এগিয়েছে দেখতে রহমানির ওই ‘পিএ’ মুর্শিদাবাদে আসে চলতি বছরে। বাংলাদেশ থেকে তার সঙ্গে আরও তিন জেএমবি জঙ্গি আসে। যারা এখনও মুর্শিদাবাদে লুকিয়ে কাজ করছে। ফেব্রুয়ারি মাসে তারা রহমানির অনুচরের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ, মালদহ, অসম সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে। ঠিক হয়, ‘স্লিপার সেলে’র সদস্যদের অস্ত্র, বোমা ও গ্রেনেড তৈরির প্রশিক্ষণ দেবে। তার প্রমাণ মিলেছে শাদের মোবাইলে। সেখানে বোমা তৈরির ফর্মুলা মিলেছে। গোয়েন্দারা বলছেন, গ্রেনেড রকেট লঞ্চার কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, তারও একটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে ওই মোবাইলে।