চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
আধাসেনার চাকরিতে রাজ্যের কোটা থাকে। তবে, এতদিন সেই গুড় খেয়ে যেত ভিনরাজ্যের পিঁপড়ে। এ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার ভুয়ো শংসাপত্র জোগাড় করে সেই চাকরিতে ঢুকে যেতেন প্রতিবেশী বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দারা। একজন চাকরিপ্রার্থীর কথায়, বিষয়টা বাংলাভাষী হওয়ার নয়। আজন্ম ভিনরাজ্যে বেড়ে ওঠা কোনও বাংলাভাষীও এ রাজ্যের কোটায় চাকরি পেতে পারেন না। শুধু এ রাজ্যে জন্ম নেওয়া যে কোনও ভাষাভাষীর মানুষই সেই চাকরির দাবিদার। কিন্তু দেখা যাচ্ছিল উল্টো ছবি। গতবার আধাসেনার তরফে প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক তথ্যেই উঠে এসেছিল, রাজ্য কোটার ৬০০০টি শূন্যপদে ৩৬০০-এরও বেশি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছিল। বাকি চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে অবাঙালি-বাঙালি মিশিয়ে ছিল। ফলে, বাংলাভাষী এবং রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা কতজন চাকরি পেয়েছিলেন, তা সহজেই আন্দাজ করা যায়। এবারের ৪ হাজার ৬৪৯ জন চাকরিপ্রাপকের মধ্যে সিংহভাগই বাঙালি।
ভুয়ো ডোমিসাইল দিয়ে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল বাংলা পক্ষ সংগঠনটি। সেই সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস্য শিলিগুড়ির বাসিন্দা রজত ভট্টাচার্য এবং শিলিগুড়ির জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায়কে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে ভিনরাজ্য থেকে আসা দুই ভুয়ো প্রার্থীকে হেনস্তা করার অভিযোগ ছিল। যদিও, তাঁরা দু’দিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান। চাকরিপ্রার্থীদের যুক্তি, জালিয়াতি নিয়ে সরব হওয়ার জন্যই তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। অনেক দুষ্কৃতী গ্রেপ্তারও হয়েছে। এমনকী, বাহিনীর মধ্যে থেকেও বেশ কিছু জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রজতবাবু বলেন, আমাদের আন্দোলনের জন্যই এই নিয়োগের নোডাল এজেন্সি সিআরপিএফ অনেক সতর্ক হয়। তারা খুঁজে খুঁজে ভিন রাজ্যের প্রার্থীদের আগেই বাদ দিয়ে দেয়। এখন চাকরিপ্রাপকদের কাছ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে মনে হচ্ছে লড়াইটা সার্থক। সংগঠনের শীর্ষনেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, আগামী লক্ষ্য রাজ্যের বৈধ কোটায় ১০০ শতাংশ বাঙালির চাকরি নিশ্চিত করা।