চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ১৯৬১ সালের কনডাক্ট অব ইলেকশন রুলস-এর ৯৩ (২এ) নম্বর বিধিতে সংশোধন করেছে। ওই ৯৩ (২এ) নম্বর রুলে নির্বাচন সংক্রান্ত ‘সব নথি’ জনসমক্ষে আনার কথা বলা ছিল। সংশোধনের পর সেখানে বদল করে বলা হয়েছে, ‘সুনির্দিষ্ট নথি’ জনগণের জন্য মুক্ত থাকবে। অর্থাৎ আর সব নথি নয়, সাধারণ মানুষ সুনির্দিষ্ট কিছু নথিই দেখতে পাবেন। সরকারি সূত্রে খবর, নির্বাচন সংক্রান্ত ‘কাগুজে নথি’ আগের মতো দেখা গেলেও বাদ পড়ছে বিভিন্ন ‘বৈদ্যুতিন নথি’। আইন মন্ত্রক ও নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা পৃথকভাবে স্বীকার করছেন, আদালতের একটি মামলার কারণেই বিধিতে এই বদল। এরফলে এবার থেকে আগের মতো ভোট সংক্রান্ত সমস্ত নথি আর প্রকাশ্যে আনবে না কমিশন। আরটিআই কর্মী ভেঙ্কটেশ নায়েক বলেন, নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও ভোটের ফলের যথার্থতা মিলিয়ে দেখার ক্ষেত্রে ওই নথিগুলি গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী বন্ড বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার নীতি প্রতিষ্ঠা করতে বলেছিল। নির্বাচনী বিধিতে এই সংশোধনী শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশকে ভঙ্গ করেছে। হতাশ নির্বাচনী স্বচ্ছতাকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ। তাঁর বক্তব্য, স্বচ্ছতা রক্ষার প্রশ্নে এটা বিশাল বড় ধাক্কা। আর আইনজীবী মেহমুদ প্রাচা বলছেন, নির্বাচন কমিশন যে নিরপেক্ষ নয়, এই সংশোধনী তা ফের প্রমাণ করল।