চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
কেন্দ্রে মোদি সরকার প্রথম ক্ষমতায় এসেছে ২০১৪ সালে। এই হিসেবে ওই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে, উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে আট আর্থিক বছরই মোদি জামানার। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এক্ষেত্রে ফের বড়সড় দুর্নীতির আঁচ পাওয়া যাচ্ছে? রিপোর্টে ক্যাগ সাফ জানিয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক এন্টারপ্রাইজেসের যাবতীয় নিয়ম লঙ্ঘন করেই পুরস্কার দেওয়ার নামে ২৭ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার হিসেব বহির্ভূত খরচ করেছে রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড। ‘ফেয়ারওয়েল স্কিম’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড স্কিমে’র আওতায় ওই টাকা খরচ করা হয়েছে। ক্যাগ তার রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই দু’টি স্কিম চালু করেছে রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড। অবসর গ্রহণের সময় ১০ গ্রাম সোনার কয়েন দেওয়ার জন্য উল্লিখিত সময়সীমায় তারা খরচ করেছে মোট ১৭ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, একটানা ২৫ বছর কাজের পুরস্কার হিসেবে যে ১৫০ গ্রাম রূপোর কয়েন কর্মীদের দেওয়া হয়েছে, তার জন্য খরচ হয়েছে মোট ১০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।
ক্যাগ তার রিপোর্টে জানিয়েছে যে, এক্ষেত্রে ১৯৯৭ সালের ২০ নভেম্বর ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক এন্টারপ্রাইজেসের নির্দেশিকা মানেনি রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড। কারণ সেই নিয়ম অনুসারে কোনও পাবলিক এন্টারপ্রাইজ তার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মন্ত্রক (এক্ষেত্রে ইস্পাত মন্ত্রক) অথবা দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কর্মীদের এক্সগ্র্যাসিয়া, সাম্মানিক দক্ষিণা কিংবা পুরস্কার (রিওয়ার্ড) দিতে পারবে না। অথচ আরআইএনএল সেই অনুমতি ইস্পাত মন্ত্রকের কাছ থেকে নেয়নি। যদিও ক্যাগকে দেওয়া জবাবে মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে যে, এক্ষেত্রে কোনও বেনিয়ম হয়নি। কারণ এক্সগ্র্যাসিয়া কিংবা রিওয়ার্ড হিসেবে তা দেওয়া হয়নি। কর্মীদের ‘অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে নিগম। এতে কোনও বাধা নেই। যদিও ইস্পাত মন্ত্রকের এহেন জবাবে বিন্দুমাত্র সন্তুষ্ট হয়নি ক্যাগ। তারা জানিয়েছে, এটি হিসেব বহির্ভূতই। কারণ লঙ্ঘন হয়েছে সরকারি নিয়ম। অর্থাৎ, আবারও প্রশ্নে মোদির ‘না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা’র ঢক্কানিনাদ!