চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
আম জনতাকে তিনি বিমানযাত্রী করবেন বলে সভা সমাবেশে ভাষণ দিয়ে থাকেন নরেন্দ্র মোদি। অথচ আম জনতার সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার স্বপ্নে জিএসটির স্পিড ব্রেকার কার্যকর করল জিএসটি কাউন্সিল। ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে জিএসটির হার ১২ থেকে বাড়িয়ে করা হল ১৮ শতাংশ। এই গাড়ির মধ্যে ইলেকট্রিক ভেহিকেলও রয়েছে। অথচ মোদি সরকার সবথেকে বেশি এই বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি ব্যবহারে জোর দেয়। বলা হচ্ছে সাধারণ মানুষ যদি একে অন্যকে ব্যবহৃত সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বিক্রি করে সেক্ষেত্রে জিএসটির এই হার প্রযোজ্য নয়। এই হার প্রযোজ্য হবে ব্যবসায়িক স্বার্থে যারা গাড়ি কিনবে এবং কোনও বাণিজ্যিক সংস্থা থেকে যাঁরা কিনবে। একথা বলা হলেও আদতে আম জনতার কাঁধেই চাপবে এই বোঝা। কারণ আম আদমির একটি বড় অংশই সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি ডিলারের থেকে কেনে। সুতরাং বর্ধিত জিএসটি আদতে তার উপরই চাপবে।
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সবথেকে বেশি বিতর্ক হয়েছে এয়ার টারবাইন ফুয়েল নিয়ে। যে জ্বালানিতে বিমান চলে সেই এটিএফ জিএসটির আওতায় নয়। কেন্দ্রীয় কর এবং রাজ্যের ভ্যাট এই জ্বালানির উপর বলবৎ রয়েছে। কেন্দ্র চাইছে এটিএফকে জিএসটির অধীনে নিয়ে আসতে। কিন্তু শনিবারের বৈঠকে এই প্রস্তাবকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করেছে প্রায় সব রাজ্য। কারণ রাজ্যগুলির আশঙ্কা এভাবে রাজ্যের আয় ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ভ্যাট বাবদ যে আয় হয় সেটা রাজ্যের লাভ। আর জিএসটি হলে কেন্দ্র রাজ্য বিভাজিত হয় আয়। সুতরাং রাজ্যগুলির সম্মিলিত বাধাদানে ওই প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে কেন্দ্র।