যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
কখনও ‘মির্জাপুর’, কখনও ‘হাসিন দিলরুবা’, আবার কখনও ‘টুয়েভথ ফেল’... স্টার কিড না হয়েও বড় স্ক্রিন কাঁপিয়েছেন তিনি। সেই বিক্রান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘বুঝতে পারছি, এবার পরিবারকে সময় দেওয়া উচিত। ঘরে ফেরার সময় এসেছে। একজন স্বামী, বাবা এবং ছেলে হিসেবে পরিবারের পাশে থাকা প্রয়োজন। অবশ্যই একজন অভিনেতা হিসেবেও থাকব।’ শেষ বাক্যটির কারণ? আগামী বছর আরও দু’টি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর। কিন্তু একইসঙ্গে বিক্রান্ত লিখেছেন, ‘আগামী ২০২৫-এ আমাদের শেষবারের মতো দেখা হবে। যতদিন না আবার সঠিক সময় আসছে।’ এমন নাটকীয়ভাবে ‘অবসর’ ঘোষণার পর তিনি সংসদে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে ‘সবরমতী এক্সপ্রেস’ দেখেওছেন। বেরিয়ে এসে বিক্রান্তের বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে নিজের অভিনয় দেখলাম। কতটা আনন্দিত, বলে বোঝাতে পারব না।’ এতে অবশ্য ধন্দ আরও বেড়েছে। বাজারে জোর জল্পনা ছিল, সবরমতী এক্সপ্রেসে অভিনয় করায় নিশ্চয়ই কোনও চাপ এসেছিল তাঁর উপর। হুমকি যে এসেছে, সেটা স্বীকারও করেছিলেন। এমনকী তাঁর ন’মাসের শিশুসন্তানকে থ্রেট করতেও ছাড়েনি দুষ্কৃতীরা। তার উপর ‘প্রোপাগান্ডা’ মার্কা ছবিতে কাজ করায় গেরুয়া দাগও লেগেছিল গায়ে। কিন্তু সংসদে বসে ছবি দেখার পর প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন উচ্ছ্বাস ধন্দ বাড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? দিল্লির ভোটে গেরুয়া বাহিনীর মুখ হয়ে? তেমন ইঙ্গিত অবশ্য বিক্রান্ত দেননি। আর রাজনীতিতে আসতে হলে কেরিয়ার থেকে ছুটি নিতে হবে, এমনটাও নয়। রবি কিষণ, কঙ্গনা রানাওয়াতের মতো বহু জনপ্রতিনিধি চুটিয়ে অভিনয় করে চলেছেন। তাহলে ছাপোষা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান অভিনেতার এমন সিদ্ধান্ত কেন? তাও ছোটপর্দা থেকে বিগ স্ক্রিন পর্যন্ত এই স্ট্রাগলের পর! একবার বলেছিলেন, ‘শৌচাগারের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে তখন। হঠাৎই এক মহিলা এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, অভিনয় করতে চাও? তা হলে অফিসে এসে দেখা কোরো।’ এমন নাম তো দু’টিই আছে। তিনি এবং সুশান্ত সিং রাজপুত। তিনি আছেন। অন্য নামটি অতীত। তারপরও বিজেপি ভবিষ্যৎ? তাও আদ্যোপান্ত ধর্মনিরপেক্ষ বিক্রান্তের? পরিবারে চারজন ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী। এরপরও মেরুকরণ রাজনীতির গর্ভগৃহে যাবেন তিনি? নাকি সুশান্তের পরিণতি তাঁকে ভাবিয়েছে। কী বলা যায় একে? সবরমতী এফেক্ট?