যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি, দেশের প্রধানতম সমস্যা এই দু’টি। এই নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণ এবং আম জনতার দুর্ভোগ সমানভাবে অব্যাহত। ২০২২ সালের জুন মাসে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লাগাতার আয়োজন করা হয়েছিল রোজগার মেলা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জানা যায় এটাও অতিরিক্ত কোনও কর্মসংস্থান নয়। চিরাচরিত প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা, ইন্টারভিউ, মেডিক্যাল টেস্ট পদ্ধতিতে যারা সরকারি চাকরি পেয়ে আসছে, তাদের বাড়িতে নিঃশব্দে নিয়োগপত্র না পাঠিয়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে রোজগার মেলা নামক মেগা ইভেন্ট। সুতরাং তখনই বোঝা গিয়েছিল কর্মসংস্থানের সমাধান হচ্ছে না। এরপর নতুন প্রচার ও ঘোষণা সামনে আসে। বিগত বাজেটে ঘোষণা করা হয় ইন্টার্নশিপ প্রকল্প। দেশের কর্মপ্রার্থীদের সহায়তা করা হবে। তবে চাকরি নয়, ইন্টার্নশিপ। মাসে দেওয়া হবে ৫ হাজার টাকা করে স্টাইপেন্ড। তার মধ্যে ৪৫০০ টাকা দেবে সরকার। ৫০০ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার। সেটাও নেওয়া হবে তাদের প্রতিশ্রুত কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি খাতের বরাদ্দ থেকে। পাইলট প্রকল্পে ২৪টি সেক্টরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ইন্টার্ন পদে নেওয়া হবে আবেদনকারীদের। বিখ্যাত সংস্থায় ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল গত ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে সেটা বাড়িয়ে ১৫ নভেম্বর করা হয়। কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের সূত্রে খবর, সাড়ে ৬ লক্ষ আবেদনপত্র এসেছে। এরপর হবে বাছাই। সেইমতো ডাক পড়বে ইন্টারভিউতে। জানা যাবে যে কোন আবেদনকারীকে কোন সংস্থায় পাঠানো হবে। অপেক্ষায় কর্মপ্রার্থীরা। কিন্তু হঠাৎ নিছক তারিখ বদল? নাকি প্রকল্প স্থগিত? সরকারের জবাবের প্রতীক্ষায় আবেদনকারীরা।