যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
বিএসএফের আইজি অবশ্য বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে পরিস্থিতি স্বাভাবিকই রয়েছে। নিয়মিত বিজিবি’র সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। একদিনে তাদের সঙ্গে ১২টি ফ্ল্যাগ মিটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে জওয়ানরাও সতর্ক রয়েছেন। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ গোলমালে জেরবার প্রতিবেশী বাংলাদেশ। তিনমাস আগে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে ওই দেশের একাংশ। হাসিনা সরকারের পতনের পরও দেশে অশান্তি কমেনি। সন্ন্যাসী গ্রেপ্তারের পর সেখানে অশান্তির আগুন আরও ছড়িয়েছে। এর জেরেই বাংলাদেশিদের একাংশ উত্তরবঙ্গে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন। এরমধ্যে একাংশ ওই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তাঁদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই শতাধিক অনুপ্রবেশকারীকে ধরেছে বিএসএফ। তারা ফ্ল্যাগ মিটিং করে বিজিবি’র হাতে অনুপ্রবেশকারীদের তুলে দিয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, এবার জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে সীমান্ত থেকে ধরা হয়েছে ১৯৪ জন বাংলাদেশিকে। যারমধ্যে গত ৫ আগস্টের পর চার মাসে ধরা হয়েছে ১১৪ জনকে। বাকি ৮০ জন বাংলাদেশি গোলমালের আগে এপারে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ২০২৩ সালে ধরা হয়েছিল ১২৭ জন বাংলাদেশিকে। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট অশান্ত বাংলাদেশ থেকে সেই দেশের নাগরিকরা পালিয়ে আসার চেষ্টা করছেন এপারে। অভ্যন্তরীণ গোলমাল চরমে ওঠার পর সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে। এ ধরনের ঘটনা মেখলিগঞ্জ, ঠাকুরগঞ্জ, হিলি, বেরুবাড়ি প্রভৃতি এলাকাতেই বেশি ঘটছে বলে অভিযোগ।
শুধু অনুপ্রবেশ নয়, বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয় চোরাচালানকারীরাও। বিএসএফ সূত্রে খবর, গতবছর সীমান্ত থেকে উদ্ধার হয় ২৫৩২টি গোরু। এবার উদ্ধার হওয়া গোরুর সংখ্যা ২৬৬৭। এর বাইরে কাফ সিরাপ, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেটও পাচার হয়েছে। পাল্টা ওপার থেকে আসছে সোনা। গতবছর এখানে আসে ৪০৭৮.৩৭ গ্রাম সোনা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৮১০৮.৫১ গ্রাম। সবমিলিয়ে এবার বাজেয়াপ্ত প্রায় ১৮ কোটি টাকার সামগ্রী।
গতবছর চোরাচালান সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২৭ জন ভারতীয়কে ধরে বিএসএফ। এবার ১১ মাসে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯৭। বিএসএফের অফিসাররা জানান, অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জওয়ানরা সতর্ক রয়েছে বলেই ১৮ কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। সীমান্ত বরাবর নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।