পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
মুম্বই হামলায় ফাঁসি হয়েছিল জঙ্গি আজমল কাসবের। হামলার রাতে এই কালান্তক কাসব ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুম্বই পুলিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর তুকারাম ওম্বলে। হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না তাঁর। কিন্তু রক্তাপিপাসু জঙ্গিকে হাতের নাগপাশে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শরীর। কিন্তু কাসবকে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ছাড়েননি তিনি। অন্য পুলিসরা এসে জঙ্গিকে ধরে ফেলেন। ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তুকারাম।
মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন। তাজ হোটেলে জঙ্গিদের নিকেশ অভিযানে এনএসজি কমান্ডোদের একটি টিমের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। পরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন। একইভাবে কামা হাসপাতাল এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে লড়ছিলেন অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের চিফ হেমন্ত কারকারে। একসময় বুকে গুলি লেগে মৃত্যু হয় তাঁর। ভোলা যায় না তাজ হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট ম্যানেজার মল্লিকা জাগাডের কথাও। বোমা,গুলি উপেক্ষা করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু উপেক্ষা করে বাকিদের বাঁচাতে রাতদিন এক করে দিয়েছিলেন তাজ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার করমবীর সিং কাং-ও। সেদিন হোটেলে আসা বহু অতিথিকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তাজের এক ওয়েটার থমাস ভার্গিস। বাকিদের বাঁচাতে সক্ষম হলেও ভার্গিসের আর বাড়ি ফেরা হয়নি। জঙ্গিদের গুলিতে হোটেলের মেঝেতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। নভেম্বর এলেই সেই রাতের স্মৃতি যেন তাড়া করে বেড়ায় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ডিরেক্টর চান্দের মোহনকে। বোর্ড মিটিংয়ের জন্য ওবেরয় হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। রুম থেকে লিফ্টে যাওয়ার সময় হঠাৎ গুলির শব্দ পান। সেদিন বাকিদের বাঁচাতে গিয়ে তিনটি গুলি খেয়েছিলেন তিনি।