পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
উদ্ধব থ্যাকারের দল পেয়েছে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে সবথেকে বেশি আসন। ২০। এরপর কংগ্রেস। ১৬ জন বিধায়ক তাদের। সবথেকে কম শারদ পাওয়ারের দলের। মাত্র ১০। সাকুল্যে এই ৪৬ জন বিধায়কদেরও ধরে রাখা কতদিন সম্ভব? এই নিয়েই এই তিন দলের মধ্যে রীতিমতো কাঁপুনি শুরু হয়েছে। অনেকেই অজিত পাওয়ার, একনাথ সিন্ধেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। আর বিজেপিও চাইছে যত দ্রত সম্ভব একে একে বিরোধী জোটে বেঁচে থাকা ৪৬ জন বিধায়কদের সিংহভাগকে তাদের কাছে টেনে নিতে। তাই গোপনে অপারেশন লোটাসের প্লট তৈরি হচ্ছে। বিজেপির লক্ষ্য, উদ্ধব থ্যাকারেকে সম্পূর্ণ একা করে দেওয়া। তিনি এবং পুত্র ছাড়া যেন তাঁর শিবসেনায় কেউ না থাকে। শারদ পাওয়ারেরও সেই হাল চাইছেন প্রধানত অজিত পাওয়ার। তিনি নিজেই যোগাযোগ করছেন পুরনো সঙ্গীদের সঙ্গে। তাঁর স্ত্রীকে লোকসভা ভোটে পরাস্ত করেছেন শারদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। আর তাঁকে বারামতীকে পরাজিত করার জন্য এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল নিজেরই ভাইপোকে। অজিত পাওয়ার এই কারণে আরও বেশি ক্ষিপ্ত। তিনি চান শারদ পাওয়ার এবং সুপ্রিয়া সুলে ছাড়া ওই এনসিপিতে যেন আর কেউ না থাকে। তাই
তিনিও বার্তা দিচ্ছেন যে, শারদ পাওয়ারের দলের জয়ী ১০ জনের মধ্যে অনেকেই এবার আসতে ইচ্ছুক। কারণ স্পষ্ট। যে বিপুল পরিমাণ গরিষ্ঠতা নিয়ে এবার সরকার গঠন করবে বিজেপি জোট, আগামী পাঁচ বছর এই সরকারের কোনও বিপদের সম্ভাবনা নেই। কারণ জোটশরিকদের সেই ক্ষমতাও নেই যে, তারা বিজেপিকে সারাক্ষণ চাপে রাখবে অথবা আগামী দিনে ব্ল্যাকমেল করবে। তাই দুর্বলতম বিরোধীদের একজন হয়ে অনেকেই পাঁচ বছর থেকে থেকে যেতে নারাজ।
অন্যদিকে, একনাথ সিন্ধে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেও নতুন মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি মঙ্গলবারও। শুধুই মুখ্যমন্ত্রী পদ নয়। কে কোন দপ্তর পাবে সেটা নিয়েও প্রবল টানাপোড়েন অব্যাহত। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে থাকলেও, এখনও দৌড়ে আছেন একনাথ সিন্ধে।