কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
আবার মহারাষ্ট্রে সব হিসেব উল্টে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে বিজেপি জোট। মাত্র কয়েকমাস আগেই লোকসভায় যে রাজ্য নরেন্দ্র মোদিকে পর্যুদস্ত করেছিল, তারাই এবার বিজেপি জোটকে কল্পতরুর মতো ভোট দিয়েছে। কেন? রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এর কারণ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের শেষ মুহূর্তের মাস্টারস্ট্রোক। জুন মাসে লোকসভায় বিজেপি জোট বিপর্যস্ত হওয়ার পরই তিনি ঘোষণা করেন মাসে দেড় হাজার টাকার ‘মেরি লাডলি বহেনা’ প্রকল্প। সেটাই নাকি বাজিমাত করেছে। উদ্ধব থ্যাকারে এবং শারদ পাওয়ারের দলের প্রতীক শুধু নয়, তাঁদের ভোটব্যাঙ্কও ছিনতাই করে নিয়েছেন একনাথ সিন্ধে এবং অজিত পাওয়াররা।
দুই রাজ্যের বিধানসভা এবং ৪৭ আসনের উপ নির্বাচন এদিন কংগ্রেসের জন্য বয়ে এনেছে উদ্বেগের বার্তা। বিজেপির বিরুদ্ধে এককভাবে লড়াই করে ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পারছে না হাত শিবির। জোটের ঝাড়খণ্ড ছাড়া তাদের কাছে সবথেকে বড় উপহার প্রিয়াঙ্কার জয়। এবার তিনি দাদা এবং মায়ের মতোই এমপি হয়ে প্রবেশ করবেন সংসদে। যদিও মহারাষ্ট্রে পরাজয় মানতে নারাজ ‘ইন্ডিয়া’। তাদের দাবি, বিজেপির এই জয় অবাস্তব। জুনে যে বিরোধী দলগুলি বিপুলভাবে সমর্থন পেয়েছিল গোটা মহারাষ্ট্রে, হঠাৎ কয়েকমাসের মধ্যে তা তলানিতে আসে কীভাবে? প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কে ভোট দিয়েছে? জনগণ? নাকি ইভিএম?
মহারাষ্ট্র নিয়ে বিজেপি উচ্ছ্বসিত। যদিও একক গরিষ্ঠতা এখনও অধরা। অতএব অজিত পাওয়ার এবং একনাথ সিন্ধের উপর নির্ভরশীল থাকতেই হবে। তবে এদিন মারাঠাভূমে রাজনীতির সবথেকে বড় পরিবর্তন হল, এই প্রথম গুরুত্বহীন হয়ে গেল থ্যাকারে পরিবার, এমনকী শারদ পাওয়ারও। মাতোশ্রীর বাইরে এসেছে নতুন শিবসেনা। বারামতীতে নতুন পাওয়ার। এই ফল বিজেপির কাছে ভালো হলেও মোদির কাছে দুশ্চিন্তার। কারণ, এই প্রথম কোনও নির্বাচনী আলোচনায় মোদি ফ্যাক্টর নেই! আছেন শুধু রাজ্য নেতারা। মোদি কি গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের ভোটযুদ্ধে?