কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তকে গ্রেপ্তার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জেলে কাটাতে হয়েছিল পাঁচ মাস। তবে আশা ছাড়েননি তিনি। বেরিয়ে এসে ফের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন। অগ্নিপরীক্ষা বললেও ভুল হয় না। তাতে শীর্ষ স্থান অধিকার করার পরও অদ্ভুত রকমের শান্ত হেমন্ত সোরেন। বিরোধীদের একহাত নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু জোর দিচ্ছেন রাজ্যের উন্নয়নে। কারণ, বিজেপির ডাবল ইঞ্জিনের ট্যাগলাইন ছিল না তাঁর। বরং ছিল মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র আশ্বাস আর জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের ভিত। তাতেই এসেছে কাঙ্ক্ষিত জয়। তাই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা তথা ‘ইন্ডিয়া’কে ক্ষমতায় ফেরানোর পর তাঁর প্রথম কাজ, শিল্প ও কর্মসংস্থান। তাঁর কথায়, ‘খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ ঝাড়খণ্ডে শিল্প ও শিক্ষায় জোর দিতে হবে। তাহলেই রাজ্যের যুবক-যুবতীদের জন্য তৈরি হবে অঢেল কর্মসংস্থান। এখন এটাই আমার লক্ষ্য।’ হেমন্তর প্রশ্ন, ‘ঝাড়খণ্ডে বিজেপি কী কাজ করেছে?’ পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের উদাসীনতাকে তাঁর কটাক্ষ, ‘এমন সমৃদ্ধশালী একটি রাজ্যে বিনিয়োগের লক্ষ্যে কেউ বাইরে থেকে এলে ভালো পাঁচ তারা হোটেল খুঁজতে কালঘাম ছুটত। এতটুকু সাহায্য করেনি ওরা। আর এটা হতে দেব না। রাজ্যের মানুষই উন্নয়নের পথ খুঁজে নেবে।’
প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে আদিবাসীপ্রধান রাজ্যের প্রত্যেক প্রান্তে ছুটেছেন হেমন্ত। একদিকে তিনি, অন্য মেরুতে স্ত্রী কল্পনা। মহাগটবন্ধনের এই দু’জনই ছিলেন সেনাপতি। কথা বলেছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তার থেকেই উপলব্ধি, ‘বিজেপি যে বিভাজনের রাজনীতি করছে, সেটা ঝাড়খণ্ডের মানুষের কাছে পরিষ্কার। আর যাঁদের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস আছে, তাঁরা কি কোনওদিন বিভাজনের রাজনীতির পক্ষে মত দেবেন?’
নির্বাচনের তিন মাস আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে ‘মহিয়া সম্মান যোজনা’র মাধ্যমে রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার জন্য মাসে এক হাজার টাকা অনুদান চালু করেছে জেএমএম সরকার। হেমন্তের সরকারের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে ডিসেম্বর থেকে এই অঙ্ক আড়াই হাজার হতে চলেছে। বার্ধক্য ভাতা অবশ্য থেকে যাবে এক হাজারেই। ফলে ঝাড়খণ্ডে মজা করে বলা হচ্ছে, এবার রাজ্যের আর্থিক সহায়তা নিয়েও শাশুড়ি-বউমার ঠোকাঠুকি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাহলে ‘মহিয়া সম্মান যোজনা’র মতো অন্যান্য প্রকল্পের আর্থিক সহায়তার অঙ্কও কি বাড়বে? হেমন্তের কথায়, ‘কেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের কয়েক লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। সেই টাকা ছাড়লে কোন প্রকল্পের অঙ্ক কত হয়, তা ঝাড়খণ্ডের মানুষ দেখতে পাবে।’