কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
জোট রাজনীতির সমীকরণ মেনে মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের মধ্যে এমভিএ শিবিরের শরিক হিসেবে ৮৭টিতে লড়েছিল শারদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি। তার মধ্যে জুটেছে মাত্র ১৩টি। অর্থাৎ স্ট্রাইক রেট মেরেকেটে ১৫ শতাংশ। নির্বাচনী রাজনীতিতে ‘মারাঠা স্ট্রংম্যানে’র এত খারাপ ফল আগে কখনও হয়নি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মাত্র ছ’মাস আগেই লোকসভা ভোটে এনসিপির শারদ পাওয়ার গোষ্ঠীর স্ট্রাইক রেট ছিল ৮০ শতাংশ। কিন্তু বিধানসভা ভোটে পুরোপুরি উল্টো চিত্র। কাকার ১৩ আসনের উল্টো দিকে ভাইপোর ৩৯টি। অজিতের শিবির যেভাবে তিনগুণ বেশি বিধানসভা আসনে জয়ী হল, প্রবীণ শারদের কাছে সেটা আরও বড় ধাক্কা।
শুধু সামগ্রিক ফলের বিচারে নয়, শারদ পাওয়ার ধাক্কা খেয়েছেন পারিবারিক খাসতালুক বারামতীতেও। এই বিধানসভা আসনেই প্রার্থী হয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে শারদ গোষ্ঠী প্রার্থী করেছিল অজিতের ভাইপো যুগেন্দ্র পাওয়ারকে। সেই লড়াইয়েও বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন অজিত। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই বারামতী থেকেই বিধানসভা ও লোকসভা মিলিয়ে মোট ১৪ বার জয়ী হয়েছিলেন শারদ পাওয়ার। বর্তমানে তিনি রাজ্যসভার সদস্য। বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে বারামতীর মাটিতে দাঁড়িয়েই শারদ অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘আমি এখন আর ক্ষমতায় নেই। রাজসভার সদস্য হিসেবেও আর দেড় বছর পর মেয়াদ শেষ হবে। আর নির্বাচনে লড়ব না। কোথাও তো থামতে হবে!’ ভবিষ্যৎ কি সত্যিই পড়ে ফেলেছিলেন দূরদর্শী শারদ?