কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
সিন্ধের এই পরোক্ষ চাপ দিয়ে তোলপাড় চলছে বিজেপিতে। কারণ ততক্ষণে স্বয়ং দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মা মিডিয়াকে বলেছেন, এবার আমার পুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবে। দেবেন্দ্রর স্ত্রী অম্রুতাও বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিজেপি সিদ্ধান্ত নেবে। মহযুতি সিদ্ধান্ত নেবে। সকলে মিলে যাঁকে নির্বাচন করবে, তিনি মহারাষ্ট্রের পক্ষে ভালো মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে জোটের এই জয়ের পিছনে নিজের অবদানকেই এগিয়ে রেখেছেন দেবেন্দ্র। তাঁর কথায়, ‘আগেই বলেছিলাম আমি আধুনিক অভিমন্যু। আমি জানি কীভাবে চক্রব্যুহ ভেদ করতে হয়। আমরা চক্রব্যুহ ভেদ করতে পেরেছি।’ পরে অবশ্য বলেছেন, এই জয়ে আমার অবদান সামান্যই। আমাদের টিম জিতেছে।
বাকি রইলেন অজিত পাওয়ার। তিন শরিকের মধ্যে সবথেকে কম আসন তিনি পেয়েছেন। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, তিনি রেসের বাইরে। এখনও প্রকাশ্যে তিনি কোনও দাবি করেননি। কিন্তু তাঁর মনে কী আছে? সেটা কেউ জানে না। ফড়নবিশ অথবা সিন্ধে, কাকে অজিত পাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন? অজিত পাওয়ার সমর্থন দেওয়ার বদলে শুধুই উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ পান। বিগত বছরগুলিতে এই ফর্মুলাই দেখা গিয়েছে। উদ্ধব থ্যাকারে মুখ্যমন্ত্রী হলেও অজিত পাওয়ার উপ মুখ্যমন্ত্রী। আবার একনাথ সিন্ধে মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাই। এমনকী একদিনের জন্য দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দিয়েছিলেন। সেবারও অজিত পাওয়ার উপ মুখ্যমন্ত্রী। এবারও কি তিনি ওই পদেই থেকে যাবেন? নাকি তাঁর অন্য উচ্চাশা আছে?
এখনও পর্যন্ত দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, পরিশ্রম করবেন তারা, আর তাদের দল বছরের পর বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাবে না— এটা আর মেনে নিতে চাইছে না বিজেপির নেতাকর্মীরা। তারা প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করেছে যে, মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সুতরাং প্রাথমিক উচ্ছ্বাসের পরই প্রবল স্নায়ুর লড়াই শুরু। দিল্লি থেকে বিজেপি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষ ভূপেন্দ্র যাদব শনিবার মহারাষ্ট্র পৌঁছে গিয়েছেন। তিনি সিন্ধে, অজিত পাওয়ার এবং ফড়নবিশের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ফড়নবিশ শনিবার বলেছেন, কোনও মতান্তর নেই। আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেব যে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? অর্থাৎ এক কথায় তিনি বলছেন না যে, একনাথ সিন্ধে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। একনাথ সিন্ধেই হবেন! মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে গেলে সিন্ধে কী করবেন? আজ মুখ্যমন্ত্রী থাকা সিন্ধে কি কাল উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়া মেনে
নেবেন? নাকি তিনি হবেন মুখ্যমন্ত্রী? কৌতুহল তুঙ্গে।