কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
জয় নিশ্চিত হতেই ওয়েনাড়ের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। বলেছেন, ওয়েনাড়ের মানুষের কথা তিনি সংসদে যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য অপেক্ষা করে আছেন। একইসঙ্গে জয়ের জন্য দাদা রাহুলকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি জানান, দাদাই তাঁকে পথ দেখিয়েছেন ও সবসময় পাশে থেকে সমর্থন জুগিয়েছেন। ওয়েনাড়ের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের নানদেদ লোকসভা কেন্দ্রেও উপ নির্বাচন ছিল। সেখানে অবশ্য জয় পেয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের প্রার্থী সুকান্তরাও হামবারদে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী রবীন্দ্র চ্যবনকে হারিয়েছেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে ওয়েনাড় ও রায়বেরিলি থেকে জিতেছিলেন রাহুল। পরে ওয়েনাড় আসনটি তিনি ছেড়ে দেওয়ায় উপ নির্বাচনের প্রয়োজন হয়। কংগ্রেস প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, উপ নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা অন্তত ৫ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতবেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন রাহুল। সেই ব্যবধান প্রিয়াঙ্কা ভেঙে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে কিন্তু ২০১৯ সালে রাহুলের ব্যবধান স্পর্শ করতে পারেননি প্রিয়াঙ্কা। কেন পাঁচ লক্ষের ব্যবধান হল না? কংগ্রেস নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, উপ নির্বাচনে ভোটের হার কম হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, প্রিয়াঙ্কা পেয়েছেন ৬ লক্ষ ২২ হাজার ৩৩৮টি ভোট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিআইয়ের সাথিয়ান মোকেরি। তিনি পেয়েছেন ২ লক্ষ ১১ হাজার ৪০৭টি ভোট। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। তাদের প্রার্থী নব্যা হরিদাস প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার ভোট পেয়েছেন।
জয়ের পর এক্স হ্যান্ডলে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘ওয়েনাড়ের প্রিয় বোন ও ভাইয়েরা, আপনারা আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন, তাতে আমি অভিভূত। এই জয় যে আসলে আপনাদেরই জয়, তা আমি নিশ্চিত করব। আপনাদের আশা ও স্বপ্নের কথা প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরব। আপনাদের হয়ে আমি লড়াই করব।’ জয়ের জন্য কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোটের নেতা, কর্মীদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ওয়েনাড়ে জয়ের পর প্রিয়াঙ্কার সামনে একইসঙ্গে একাধিক চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ অপেক্ষা করছে। লোকসভায় একইসঙ্গে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার উপস্থিতি বিরোধী শিবিরকে আরও একটু অক্সিজেন দেবে। দলে সোনিয়া-কন্যার ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। দাক্ষিণাত্যে দলকে শক্তিশালী করতে জোর দেবেন নাকি বিজেপিকে রুখতে জাতীয় নেত্রী হিসেবে উঠে আসবেন, তার দিকে নজর বিশেষজ্ঞদের।