কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
দলীয় প্রতীক তির-ধনুক আগেই হাতছাড়া হয়েছিল উদ্ধবের। তবে লোকসভা ভোটের সাফল্যের পর উদ্ধব গোষ্ঠীর আশা ছিল, জনগণ বাল থ্যাকারের উত্তরাধিকারি হিসেবে তাদেরই বেছে নিয়েছে। সেই কারণেই প্রতি মূহূর্তে একনাথ শিবিরকে গদ্দারের তকমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের সেই সাফল্য ছ’মাসেই ফিকে। বিধানসভা ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, নিভেছে উদ্ধবের ‘মশাল’। শুধু আসন সংখ্যায় নয়, জয়ের স্ট্রাইক রেটেও উদ্ধব শিবিরকে গোলের মালা পরিয়েছেন একনাথ সিন্ধে। মুখ্যমন্ত্রী সিন্ধের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ৮১টি আসনে লড়ে জয়ী হয়েছে ৫৭টিতে। অর্থাৎ তাঁর শিবিরের জয়ের স্ট্রাইক রেট ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন শিবির প্রার্থী দিয়েছিল ৯২টিতে। জয়ী হয়েছে মাত্র ১৮টিতে। অর্থাৎ তাঁর জয়ের স্ট্রাইক রেট সাকুল্যে ২০ শতাংশ। বিধানসভা ভোটে উদ্ধব শিবিরের থেকে তিনগুণ বেশি আসনে জয়ী হয়েছে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী সিন্ধের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা। অর্থাৎ, শিবসেনার রাশ ও বালাসাহেবের ‘রাজনৈতিক উত্তরাধিকারে’র লড়াইয়ে আপাতত অ্যাডভান্টেজ একনাথ সিন্ধে। তাহলে কি সিন্ধের বিরুদ্ধে ‘গদ্দার’ প্রচারই উদ্ধবের জন্য ব্যুমেরাং হল? বিধানসভা ভোটের এই ফল সেই প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে।