ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
মোদি সরকারের অস্বস্তির কারণ অবশ্যই রেপো রেট। কারণ, মূল্যবৃদ্ধির জন্য আরবিআই কিছুতেই রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। আর এতেই চটছে কেন্দ্র। তাদের ক্ষোভ, মূল্যবৃদ্ধির (বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি) কারণকে অজুহাত দেখিয়ে আর কতদিন রেপো রেট আকাশছোঁয়া থেকে যাবে? গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এই যুক্তিতেই তোপ দেগেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। তাঁর দাবি ছিল, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অতিরিক্ত হইচই হচ্ছে। এতটা উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজনই নেই। কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে মূল্যবৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন। তাই রেপো রেট এখনই কমানো উচিত। সেবারও জবাব দিয়েছিলেন গভর্নর। কিন্তু এভাবে মূল্যবৃদ্ধিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরের তকমা দিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতা করেননি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য সরাসরি অগ্রাহ্য করা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তার জন্য প্রোটোকল বহির্ভূত। তাই তিনি শুধু মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, রেপো রেট সাড়ে ৬ শতাংশে রেখে দেওয়ার জন্যই কিছুটা হলেও সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরানো গিয়েছে। তারপরও কিন্তু খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রয়েছে উদ্বেগের চরম সীমাতেই। এদিন কিন্তু শক্তিকান্ত দাস সরাসরি বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধিকে স্থিতিশীল রাখতেই হবে। তাহলেই গরিবের বোঝা কমবে। মূল্যবৃদ্ধির হার অগ্রাহ্য করলে আবার সব হিসেবে গোলমাল হয়ে যাবে। আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে গভর্নর সন্তুষ্ট হলেও বর্তমানে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি তাঁকে উদ্বেগেই রেখেছে। আরবিআই গভর্নরের বক্তব্য, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি দ্রুত ৫ শতাংশের নীচে নামাতেই হবে। এখানেই বিরোধ বাড়ছে দু’পক্ষের। কারণ এখন কেন্দ্রের লক্ষ্য, উৎপাদনের হার বাড়ানো। তাহলে বাণিজ্যিক সক্রিয়তা বাড়বে। কিন্তু ব্যাঙ্ক ঋণের উপর সুদের হার, অর্থাৎ রেপো রেট না কমলে সরকারের এই মরিয়া প্রচেষ্টা অধরাই থেকে যাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির কমবেশি ছ’জন সদস্যই কিন্তু একজোট—আগে খাদ্য মূল্যবৃদ্ধির রাশ টানতে হবে। এই ‘ঠান্ডা যুদ্ধে’র ফল? জাঁতাকলে আম আদমি।