ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
আদালত সূত্রে খবর, ১৯৮৯ সালে পিডিপি নেতা মুফতি মহম্মদ সইদের কন্যা রুবিয়াকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে। সেই সংক্রান্ত মামলায় তিহার জেলে বন্দি ইয়াসিনকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের আদালত। কিন্তু, নিরাপত্তা সহ একাধিক কারণ উল্লেখ করে সেই নির্দেশে আপত্তি জানায় সিবিআই। শীর্ষ আদালতেরও দ্বারস্থ হয় তারা। ভিডিও কনফারেন্সে জম্মু-কাশ্মীর কোর্টের শুনানি চালানো আর্জি জানান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। তার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া পর্যবেক্ষণ দেয় বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ। তাদের প্রশ্ন, ‘অনলাইনে মুখোমুখি জেরা কীভাবে সম্ভব? জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবাও খুব একটা ভালো নয়। আমাদের দেশে আজমল কাসবের মতো ব্যক্তিকেও ন্যায়বিচারের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টেও আইনি সহায়তা পেয়েছিল ওই জঙ্গি।’ এরপরই সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে কতজন সাক্ষী রয়েছেন, তা সলিসিটর জেনারেলের কাছে জানতে চান বিচারপতিরা।
তুষার মেহেতার অভিযোগ, ‘ইয়াসিন মালিক নানা ছলছাতুরি করছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে জম্মু-কাশ্মীরের কোর্টের অপহরণ মামলায় কোনও আইনজীবী নিয়োগ করেননি। নিজেই সওয়ালের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ ইয়াসিনের জঙ্গি যোগ তুলে ধরতে সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার একটি ছবিও আদালতে পেশ করেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইয়াসিন জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা। জাতীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাঁকে কোনওভাবেই তিহার জেলের বাইরে বেরনোর অনুমতি দেওয়া যায় না। বক্তব্য শোনার পর আদালত জানিয়েছে, সেক্ষেত্রে তিহার জেলেই অপহরণ মামলার জন্য কোর্টরুম তৈরি করা হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।