ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
কিছু সংস্থার বুথফেরত সমীক্ষার দাবি, মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি জোট। আবার কেউ কেউ বলেছে, ঝাড়খণ্ডে আবার হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বেই ক্ষমতাসীন হবে ‘ইন্ডিয়া’। কিন্তু সব মিলিয়ে ত্রিশঙ্কু কিংবা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের বার্তা তথা পূর্বাভাস বেশিরভাগ সমীক্ষায়। অর্থাৎ এবার আর সমীক্ষক সংস্থাগুলি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে না। আর তার ফলে যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বিজেপির মুখে হাসি ফুটছে না। শনিবার প্রকৃত ফলপ্রকাশের আগে পর্যন্ত কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্ত কিংবা অনুমানের অবকাশ দিচ্ছে না এক্সিট পোলগুলি। আর তাই এদিন বুথ ফেরত সমীক্ষার পর যুযুধান ইন্ডিয়া এবং এনডিএ উভয় শিবিরের নেতৃত্বেরই দাবি, ‘আমরাই জয়ী হতে চলেছি।’ এক্সিট পোলকে হারিয়ে অনেক বেশি আসনেই জয়ী হবে তারা— এই ভবিষ্যৎবাণী দু পক্ষেরই।
যদিও এই দাবির আড়ালে বুধবার রাত থেকেই দুই শিবিরে শুরু হয়েছে অঙ্ক কষা এবং ঘুঁটি সাজানোর প্ল্যান। ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে কী পরিকল্পনা নেওয়া হবে? চলছে সেই উত্তর খোঁজা। মহারাষ্ট্রে ত্রিশঙ্কু ফলাফল হলে কী হতে পারে, সেই উদাহরণ ২০১৯ সালেই পাওয়া গিয়েছে। নাটকীয়ভাবে সেই বছর দলবদল, জোটবদল ঘটেছিল। উদ্ধব থ্যাকারেকে বিজেপির গুহা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে শারদ পাওয়ার সরকার গড়ে ফেলবেন, সেটা দিল্লিতে বসে ভাবতেই পারেননি অতি আত্মবিশ্বাসী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। সাধারণত ত্রিশঙ্কু ফলাফল হলে ভারতীয় রাজনীতিতে সর্বাগ্রে সক্রিয় হয় অপারেশন লোটাস। মহারাষ্ট্রে এবার সেই অপারেশনের অঙ্ক অত্যন্ত জটিল। কারণ, দুই শিবির মিলিয়ে ছ’টি দল। প্রতিটিই ভালো প্রভাবশালী ও শক্তিধর। শারদ পাওয়ার, উদ্ধব থ্যাকারে এবং কংগ্রেস একদিকে। অন্যদিকে বিজেপি, একনাথ সিন্ধে এবং অজিত পাওয়ার। তাই ত্রিশঙ্কু হলে বিজেপির সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, কাকে দলে টানবে তারা? কাকেই বা মুখ্যমন্ত্রী করা হবে? মহারাষ্ট্রের বর্তমান শাসকজোটের তিন দলই মনে মনে মুখ্যমন্ত্রিত্ব চায়। উল্টোদিকে ‘ইন্ডিয়া’ বা মহা বিকাশ আঘাড়িতে উদ্ধব থ্যাকারে ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নেই। মহারাষ্ট্রে ২৮৮ আসনের মধ্যে গরিষ্ঠতার জন্য পেতে হবে ১৪৫। ঝাড়খণ্ডে ৮১ আসনের জন্য সেই ম্যাজিক নম্বর ৪১। যে জোটই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ুক, একক সংখ্যাগরিষ্ঠ কোনও দলই হবে না তা নিশ্চিত। অর্থাৎ, মহারাষ্ট্রে জোট সরকার থাকবে। ঝাড়খণ্ডে এত ঝড় সামলে হেমন্ত সোরেন জয়ী হলে সেটাও হবে বিরাট সাফল্য। দুই রাজ্যে এবার ভোটের নির্ণায়ক শক্তি মহিলা ভোট। কারণ, দুই রাজ্যেই শাসকের প্রচারে পুঁজি ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার!