পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রাঁচিতে শিবু সোরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রার্থী মহুয়া মাঝি। তবে মানুষের মন ঘোরাতে কোনও চেষ্টাই বাদ দিচ্ছে না বাবুলাল মারান্ডির নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড বিজেপি। যেমন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বড় বড় হোর্ডিংয়ের পাশেই নরেন্দ্র মোদির বিশাল মুখের ছবি দেওয়া হোর্ডিং নিশ্চিত করেছে বিজেপি। ঠিকই একই মাত্রায় চলছে শ্যাডো ক্যাম্পেইনিংও। তবে হেমন্তের ‘মাইয়া সম্মান যোজনা’র মতো একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প মানুষের মন কেড়েছে বুঝতে পেরে, ‘প্যারোডি পাবলিসিটির’ দ্বারস্থ হতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
কী এই প্যারোডি পাবলিসিটি? ১৩ নভেম্বর প্রথম পর্যায়ের ভোট ঝাড়খণ্ডে। ভোট দেবেন রাজ্যের রাজধানী রাঁচির ভোটাররাও। প্রচার শেষ করতে হাতে আর মাত্র কয়েকদিন সময়। ফলে ছটপুজোর পাশাপাশি ভোটপুজোর উৎসাহও চরমে। আর ভোটের ঠিক দোরগোড়ায় কেন্দ্রের মোদি সরকারের কারণে ঝাড়খণ্ড কতটা উপকৃত হয়েছে তা মিটিং-মিছিলে বলার পাশাপাশি ভিড়াক্কার বাজারে মাইকে প্যারোডি গান বাজছে চলমান গাড়িতে। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, বেছে নেওয়া হয়েছে সাম্প্রতিক জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার শুধুমাত্র একটি গানকেই। সেটি হল, ‘বাঁচনা এ হাসিনো, লো মে আ গায়া’। এই গানেরই ভাষা বদলে জেএমএমকে নিয়ে তৈরি হয়েছে চিমটি কাটা প্যারোডি। শোনানো হচ্ছে বাজারে বাজারে। মহল্লায় মহল্লায়। প্যারোডির ব্যবহারে প্রতিপক্ষের গায়ে কাদা ছিটানোর এমন রাজনীতির সাক্ষী রাঁচি এই প্রথম। বলছেন এখানকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দারা। তবে এতে জেএমএমের কিছু আসে যায় না বলেও মত দলের মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের। কারণ তাঁর মতে, বিজেপি যাই করুক, হেমন্তকে ফের সরকারে আনার ব্যাপারে মানুষ মনস্থির করেই ফেলেছে। বিজেপি প্রার্থী সি পি সিং মনে করেন, এভাবে প্রচার করলে মানুষের কাছে আরও ভালো করে পৌঁছানো যায়।