প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
দেশ ও বিদেশে নানা জায়গায় প্রধানমন্ত্রী ছবি, ভাস্কর্য, পোশাক, টুপি, জুতো প্রভৃতি উপহার পান। সরকার সেগুলি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিককালে এমনই কিছু উপহার সামগ্রী নিলামে তোলা হয়েছে। শেষবার এই নিলাম চলে ১৭ সেপ্টেম্বর মোদির জন্মদিন থেকে ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মদিন পর্যন্ত। শ’ছয়েক উপহারের মধ্যে তখনও বেশকিছু উপহার বাকি ছিল, যেগুলির নিলামে কেউ অংশগ্রহণই করেনি। ফলে নিলামের সময়সীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেইমতো বৃহস্পতিবারই ছিল নিলামের শেষদিন।
যেসব উপহার কেনার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি, তার মধ্যে সর্বোচ্চ দামি উপহার প্যারিস প্যারা অলিম্পিকসের রুপোজয়ী খেলোয়াড় অজিত সিং যাদবের তরফে এসেছে। তিনি তাঁর জুতোটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিয়েছিলেন। সরকার সেই জুতোর দাম নির্ধারণ করে ৮ লক্ষ ২৬ হাজার ১০০ টাকা। এরপর রয়েছে প্যারা অলিম্পিয়ান সুকান্ত কদমের ব্যাডমিন্টন র্যাকেট। সেটির দাম ধার্য হয় ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু তা কেনারও কেউ নেই। যেসব উপহার বিক্রি হয়নি, তার মধ্যে সবচেয়ে কম দাম ছিল পরমহংস বাবা জয়রাম দাসজির একটি ছবি। তার মূল্য ছিল ৩,৩০০ টাকা। বিকোয়নি হরিয়ানার এই স্মরণীয় ব্যক্তিত্বের ছবিটিও।
তাহলে বিক্রি হল কী? নিলামে সবচেয়ে বেশি দর ওঠে প্যারা অলিম্পিকসের রুপোজয়ী হাই জাম্পার নিষাদ কুমারের জুতোর, ৬০ লক্ষ টাকা। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, বিগত পাঁচটি পর্যায়ে যে নিলামপর্ব সমাপ্ত হয়েছে, সেখানে সবচেয়ে বেশি দরে বিকিয়েছে টোকিও অলিম্পিকসে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়ার জ্যাভলিন। প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া সেই জ্যাভলিনের দর উঠেছিল দেড় কোটি টাকা। সেই তুলনায় এবারের নিলামপর্ব যে একেবারেই ফ্যাকাসে, তা মানছেন অনেকেই। নরেন্দ্র মোদির নাম-মাহাত্ম্যেই যেসব উপহার সামগ্রী একসময় চড়া দর পেত, সেই ক্যারিশ্মা এখন অনেকটাই ফিকে! তারই প্রমাণ দিচ্ছে এবারের অনাগ্রহের নিলামপর্ব।