ব্যবসায়িক কাজকর্মের প্রসার, কেনাবেচা বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি। আঘাত ও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। ... বিশদ
সম্প্রতি ল্যানসেট ডিজিটাল হেল্থ অভিনব এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে দাবি, এআই নির্ভর ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলি নির্ভুলভাবে অনুমান করতে পারে। এমনকী দিতে পারে মৃত্যুর পূর্বাভাসও।
বর্তমানে প্রচলিত মডেলগুলিতে রোগী ধরে ধরে সুস্পষ্ট পূর্বাভাস করাটা এককথায় অসম্ভব। কিন্তু ল্যানসেটের গবেষকেরা বানিয়ে ফেলেছেন এক নয়া ‘হাতিয়ার’। এটিকে বলা হচ্ছে এআই-ইসিজি রিস্ক এস্টিমেটর (এআইআরই)। এই পদ্ধতিতে ভবিষ্যতে হার্ট ফেলিয়র, হৃদরোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি এমনকী কম বয়সেই মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে কি না, তা বলে দেওয়া সম্ভব। গবেষকদের দাবি, এআইআরই-এর মাধ্যমে দশজনের মধ্যে আটজনের ক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে মৃত্যুর পূর্বাভাস করা সম্ভব। সমীক্ষাপত্রটিতে গবেষকরা লিখেছেন, পূর্বের এআই নির্ভর ইসিজিতে বহু ধরনের সীমাবদ্ধতা ছিল। নতুন এই এআই-ইসিজি রিস্ক এস্টিমেটরে সেই সীমাবদ্ধতাগুলি কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে।
আগামী বছরের মাঝামাঝি ব্রিটেনের দু’টি হাসপাতালে এই নয়া প্রযুক্তির ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। ব্রিটেনে স্বাস্থ্য পরিষেবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস’ (এনএইচএস) এর অধীনে এই দু’টি হাসপাতাল পরিচালিত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই স্বাস্থ্য পরিষেবার অঙ্গ হিসেবে সামগ্রিকভাবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে। হাসপাতালে আসা অগণিত রোগী এআই চালিত এই ‘ডেথ ক্যালকুলেটর’-এর মাধ্যমে তাঁদের সম্ভাব্য জীবদ্দশার আনুমানিক হিসেব হাতে পেয়ে যাবেন। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। গবেষকদের দাবি, সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকির ভিত্তিতে মৃত্যুর পূর্বাভাস হাতে চলে এলে সেইসব সমস্যাগুলি চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাওয়া যাবে।
ল্যানসেটের গবেষকেরা ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৩৯ জন রোগীর প্রায় ১১ লক্ষ ৬০ হাজার ইসিজি রিপোর্টের উপর এই নয়া প্রযুক্তির প্রয়োগ করেছেন। তাঁদের গবেষণার ভবিষ্যতে ৭৬ শতাংশ ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন সংক্রান্ত গুরুতর অসুস্থতার আশঙ্কা ধরা পড়েছে। আর দশজনের মধ্যে সাতজনের ক্ষেত্রে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস কার্ডিওভাসকুলার রোগে (ধমনী সরু হয়ে গিয়ে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হওয়া) আক্রান্ত হওয়ার নির্ভুল পূর্বাভাস মিলেছে।