সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
যোগীরাজ্যে ঘটনাটি ঘটেছে বদাউনের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অরুণ কুমার জানিয়েছেন, মৃত শিশুটির নাম সোফিয়া। বুধবার দুপুরে জ্বরে আক্রান্ত শিশুটিকে হাসপাতালে এনেছিলেন তার বাবা নিজাম। অভিযোগ, সে সময় হাসপাতালে কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। এক কর্মচারীর কথামতো ডাক্তারের খোঁজে হাসপাতালের এঘর থেকে ওঘর ছুটে বেড়ান শিশুটির বাবা। কিন্তু কারও দেখা মেলেনি। কোনও চিকিৎসা না পেয়ে মেয়ের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। সেই অবস্থাতেই মেয়েকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেখতে পান, হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফরা ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত। একরত্তি সন্তানের জীবনরক্ষায় তাঁদের কাছে গিয়ে কাকুতি-মিনতি শুরু করেন নিজাম। কিন্তু ক্রিকেট ম্যাচ ছেড়ে কেউ শিশুটির চিকিৎসায় এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই সোফিয়া মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
হাসপাতালের অধ্যক্ষ অরুণ কুমার শিশুমৃত্যুর এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের তদন্তে তিন চিকিৎসকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু রোগী দেখা ছেড়ে হাসপাতালের চিকিৎসকরা ক্রিকেট খেলেন কীভাবে? অধ্যক্ষের সাফাই, বহির্বিভাগের দায়িত্বে যে চিকিৎসরা ছিলেন, তাঁরা কেউ ওই ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নেননি। সম্ভবত ছুটি হওয়ার পর কয়েকজন ডাক্তার ক্রিকেট খেলেছেন।