সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
উৎসবের মরশুমেও বাজারে চাহিদা কম। দুর্গাপুজো, নবরাত্রি হয়ে গিয়েছে। এবার দেশজুড়ে দীপাবলি, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, ছটপুজো। কিন্তু চাহিদা ঊর্ধমুখী নয়। অন্যতম প্রধান কারণ হল মূল্যবৃদ্ধি। আর বিশেষ করে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ পরিবারে খাদ্যের সংস্থান করতেই দিশাহারা হয়ে যাচ্ছেন। তাই অতিরিক্ত অর্থের যোগান দেওয়ার মতো সঞ্চয় অথবা সাশ্রয় নেই আমজনতার কাছে। সেই কারণে উৎসবের মরশুমে যে অতিরিক্ত ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের প্রবণতা থাকে, সেটি অনুপস্থিত।
সম্প্রতি নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি এখনও যেহেতু নিয়ন্ত্রণে আসছে না এবং আগামী দিনে আরও বাড়বে, তাই রেপো রেট কমানো হবে না। যদিও মোট ৬ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন রেপো রেট একই রেখে দেওয়ার পক্ষে বৈঠকে রায় দেন। একজন নতুন সদস্য কিন্তু ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমানোর পক্ষে প্রস্তাব করেছিলেন। সেই বৈঠকে হওয়া আলোচনা ও সিদ্ধান্তের বিস্তারিত সূচি প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে জানা যাচ্ছে, নতুন সদস্য নাগেশ কুমার ওই বৈঠকে বলেছিলেন, ভারতীয় শিল্প এবং বাজার চাহিদার সঙ্কটে ভুগছে। যেহেতু সাধারণ মানুষ থেকে শিল্পসংস্থার মধ্যে এই চাহিদার সঙ্কট প্রভাব ফেলছে, তাই ২৫ বেসিস পয়েন্ট যদি রেপো রেট কমানো যায়, তাহলে সম্ভবত কিছুটা হলেও আর্থিক সাশ্রয় হবে। আর ওই টাকা বাজারে আসতে পারে। সেই ফর্মুলা অবশ্য বাকি সদস্যরা মেনে নেয়নি। তবে নাগেশ কুমারের ওই যুক্তির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আরও দুই সদস্য। তাঁরাও বলেছিলেন যে, বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি করা দরকার। আর এক সদস্য অর্থনীতিবিদ সৌগত ভট্টাচার্য এই বৈঠকে একমত হয়েছেন নাগেশ কুমারের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, উৎসবের মরশুমে পণ্য চাহিদা একইরকম রয়ে যাচ্ছে। এই চাহিদা আদৌ বাড়ছে কি না, সেটা জানার পর আগামী দিনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাবে। অর্থাৎ পরোক্ষে তিনিও স্বীকার করেছেন যে, পণ্য চাহিদা কমে গিয়েছে অথবা থমকে গিয়েছে।