নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশ। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কেরল। দক্ষিণ ভারতের দীর্ঘকালের অভিযোগ হল, দেশের ভরকেন্দ্র উত্তর ভারত। সর্বদাই উত্তর থেকেই পরিচালিত হয় ভারতের শাসন ও রাজনীতি। দক্ষিণ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অথবা জাতীয় দলের সভাপতি সাধারণত বেছে নেওয়া হয় না। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে করা হয়। যদিও এই অভিযোগের সামগ্রিক সারবত্তা নেই। প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি কিংবা দলীয় সর্বভারতীয় সভাপতি—দক্ষিণের অনেক নেতাই বহুবার এই সব গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন। এবার কংগ্রেসের এই মাস্টারস্ট্রোক থেকে বিজেপির শঙ্কা, প্রিয়াঙ্কাকে ওয়েনাড় থেকে জিতিয়ে এনে কংগ্রেস বার্তা দিতে চাইছে উত্তর ও দক্ষিণে গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য এমপি থাকছেন। সুতরাং কংগ্রেস সমানভাবে বিচার করে উত্তর ও দক্ষিণকে। অতএব বিজেপির পরবর্তী সভাপতি দক্ষিণ থেকে কোনও নেতাকে করা যায় কি না, সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ ভারতের বঙ্গারু লক্ষ্মণ থেকে বেঙ্কাইয়া নাইডু, জনা কৃষ্ণমূর্তিরা বিজেপির সভাপতি হয়েছেন। সুতরাং বিজেপির ইতিহাসে দক্ষিণের সভাপতি নতুন কিছু নয়। কিন্তু কর্ণাটকের অনন্তকুমার, অন্ধ্রপ্রদেশের বেঙ্কাইয়া নাইডুদের মতো প্রভাবশালী এবং দলে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্তরের নেতা এখন দক্ষিণ থেকে কম। তাই উভয় সঙ্কটে বিজেপি। তবুও বিজেপি আলোচনা করছে। উঠে আসছে জি কিষান রেড্ডি, কে মুরুগান, নির্মলা সীতারামন ও প্রহ্লাদ যোশির নাম।