ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
রাজধানীতে নানা ধর্ম, বর্ণ, জাতির মানুষের বাস। সকলের মঙ্গলকামনাতেই এই আয়োজন। পুজোয় সপ্তমী থেকে নবমী মিলবে ভোগ। কাউকেই ফিরতে হবে না খালি মুখে, জানালেন পুজো আয়োজনের তত্ত্বাবধানে ব্যস্ত মিশনের সেক্রেটারি মহারাজ স্বামী সর্বলোকানন্দ। তাঁর পরামর্শে ভাস্কর রায় সহ মিশনের ভক্তরা দিনরাত কাজ করছেন। একচালার প্রতিমা তৈরি করেছেন কৃষ্ণনগরের পটুয়া বিশ্বজিৎ পাল। নিউদিল্লি কালীবাড়ির সৌজন্যে বীরভূম থেকে আসছেন পাঁচজন ঢাকি, ঢোল আর কাঁসরবাদক।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে পুজোয় পুরোহিত ব্রক্ষ্মচারী রমেশ চৈতন্য। আর তন্ত্রধারক অর্থাৎ পুজোর মন্ত্রচারণ করবেন মাদুরাই রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ নিত্য দীপানন্দ। সমগ্র পুজো উৎসর্গ হবে মা সারদার নামে। স্বামী বিবেকানন্দ যখন ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে দুর্গা পুজো শুরু করেছিলেন, সেই সময় থেকেই মা সারদার নামেই পুজো উৎসর্গ হয়ে আসছে। ভারতের ৩১টির পাশাপাশি বাংলাদেশ, মরিশাস, জাম্বিয়ার মতো দেশ মিলিয়ে গোটা বিশ্বের মোট ৪৬ রামকৃষ্ণ মঠে হয় দুর্গার প্রতিমা পুজো। বাকিতে ছবি।
দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে যেমন দ্বিতীয় বর্ষের প্রতিমা পুজোর আয়োজনের ব্যস্ততা, অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে নবরাত্রি। দিল্লি সহ গোটা উত্তর ভারতে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মন্দিরে মন্দিরে জ্বলবে আলো। হবে শঙ্খধ্বনি। বাজবে ঘণ্টা। নবরাত্রি উপলক্ষে করোলবাগের কাছে ঝাণ্ডেওয়ালা দেবী মন্দিরে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে রাত ভক্তদের ভিড়। শৈলপুত্রী, কাত্যায়ণী, সিদ্ধিদাত্রী, মহাগৌরী— এবার পুজোর দশ দিনে নয় রূপে দেবী পূজিতা হবেন।
আঠেরো শতকে আরবল্লী পাহাড়ের জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে মিলেছিল মূর্তি। কাপড় ব্যবসায়ী বদ্রী দাস খুঁজে পেয়েছিলেন সেই বিগ্রহ। কিন্তু মাটি খুঁড়তে গিয়ে মূর্তির একটি হাত ভেঙে যায়। পরে যা তৈরি করা হয় রুপোর। সেই আদি বিগ্রহের পাশাপাশি নতুন মূর্তি দর্শনেও ভিড় শুরু হয়ে গিয়েছে ঝাণ্ডেওয়ালায়।