শিল্পকর্মে সাফল্য, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দুর্ভাগ্যজনক ব্যতিক্রম নয়। এনডিএর শাসনকালে রেলে দুর্ঘটনা যেন নিয়মে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। দেড় মাসে তিনটি বিপর্যয়। অথচ, চড়া দামে টিকিট কেটে ইদানীং দেশবাসী সফর করছেন মৃত্যুকূপে। আর তারপরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গী তাঁর চিরপরিচিত ‘দর্প’। মঙ্গলবার ভোরে হাওড়া-মুম্বই মেলের দুর্ঘটনা নিয়ে যখন ফুঁসছে দেশ, তখন বণিকসভার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সগৌরবে দাবি করছেন, ‘বিগত সরকারের তুলনায় ১০ বছরে আমরা রেল বাজেট বাড়িয়েছি আট গুণ।’ অর্থাৎ, রেলকে তাঁর সরকারের অর্থমন্ত্রক ৮ গুণ বেশি অর্থ দিয়েছে! সদ্য পেশ হওয়া বাজেটে শুধু সুরক্ষা খাতেই রেলকে দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা। মোট রেল বাজেট হয়েছে ২ লক্ষ ৬২ হাজার ২০০ কোটি টাকার। প্রশ্ন উঠছে, বছর বছর বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়ানো হলে, সেইসব টাকা যাচ্ছে কোথায়? আর দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বা জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী রেলের গুণ গেয়ে যান কীভাবে? অস্বস্তি চাপা দেওয়ার জন্য?
মূল্যবৃদ্ধি হোক, বেকারত্ব, বা যাত্রীসুরক্ষা—এমন কোনও সমস্যা দেশে আছে বলেই মনে করেন না নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাই সকালে বণিকসভায় প্রধানমন্ত্রী এবং বিকেলে লোকসভায় অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র ভারতেই নিম্নতম মূল্যবৃদ্ধি এবং উচ্চ মাত্রায় আর্থিক বৃদ্ধির হার দেখা গিয়েছে এই ১০ বছরে।’ এবারের বাজেটের স্তুতি করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর ১০ বছরের শাসনকালে উন্নয়ন কিংবা সার্বিক প্রকল্প রূপায়ণে আর্থিক বরাদ্দ বহুগুণ বেড়েছে। চেনা ছকে ইউপিএ সরকারের বাজেট বরাদ্দের প্রসঙ্গও টানেন তিনি। বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালের বাজেটে মনমোহন সিং সরকার বরাদ্দ করেছিল ১৬ লক্ষ কোটি টাকা। মাত্র ১০ বছরের মধ্যে আমাদের সরকার এবার বাজেটে দিয়েছে ৪৮ লক্ষ কোটি টাকা। মাত্র ৯০ হাজার কোটি টাকা ছিল ওই সময় পরিকাঠামো নির্মাণ বাজেট। এবার সেই অঙ্ক বেড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। হাইওয়ে বাজেট বেড়েছে আট গুণ। কৃষি বাজেট বেড়েছে চার গুণ। আর্থিক বৃদ্ধিহার বেশি এবং মূল্যবৃদ্ধি কম—এই আদর্শ মডেল ভারতেরই।’ তবে মোদি বলেননি যে, এই ১০ বছরেই ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। সোমবারই সংসদে অর্থমন্ত্রক রিপোর্ট দিয়েছে, ভারতের ঋণ ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ছিল ১৭১ লক্ষ কোটি টাকা। আর চলতি আর্থিক বছরে হতে চলেছে ১৮৫ লক্ষ কোটি টাকা। তাঁর শাসনকালে রেল দুর্ঘটনায় কত যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন, আর তার জেরে পরিকাঠামোর কী উন্নতি হয়েছে, সেটাও কিন্তু রেলমন্ত্রী বলেননি। মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার পরও না।
মূল্যবৃদ্ধি হোক, বেকারত্ব, বা যাত্রীসুরক্ষা—এমন কোনও সমস্যা দেশে আছে বলেই মনে করেন না নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাই সকালে বণিকসভায় প্রধানমন্ত্রী এবং বিকেলে লোকসভায় অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র ভারতেই নিম্নতম মূল্যবৃদ্ধি এবং উচ্চ মাত্রায় আর্থিক বৃদ্ধির হার দেখা গিয়েছে এই ১০ বছরে।’ এবারের বাজেটের স্তুতি করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর ১০ বছরের শাসনকালে উন্নয়ন কিংবা সার্বিক প্রকল্প রূপায়ণে আর্থিক বরাদ্দ বহুগুণ বেড়েছে। চেনা ছকে ইউপিএ সরকারের বাজেট বরাদ্দের প্রসঙ্গও টানেন তিনি। বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালের বাজেটে মনমোহন সিং সরকার বরাদ্দ করেছিল ১৬ লক্ষ কোটি টাকা। মাত্র ১০ বছরের মধ্যে আমাদের সরকার এবার বাজেটে দিয়েছে ৪৮ লক্ষ কোটি টাকা। মাত্র ৯০ হাজার কোটি টাকা ছিল ওই সময় পরিকাঠামো নির্মাণ বাজেট। এবার সেই অঙ্ক বেড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। হাইওয়ে বাজেট বেড়েছে আট গুণ। কৃষি বাজেট বেড়েছে চার গুণ। আর্থিক বৃদ্ধিহার বেশি এবং মূল্যবৃদ্ধি কম—এই আদর্শ মডেল ভারতেরই।’ তবে মোদি বলেননি যে, এই ১০ বছরেই ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। সোমবারই সংসদে অর্থমন্ত্রক রিপোর্ট দিয়েছে, ভারতের ঋণ ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ছিল ১৭১ লক্ষ কোটি টাকা। আর চলতি আর্থিক বছরে হতে চলেছে ১৮৫ লক্ষ কোটি টাকা। তাঁর শাসনকালে রেল দুর্ঘটনায় কত যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন, আর তার জেরে পরিকাঠামোর কী উন্নতি হয়েছে, সেটাও কিন্তু রেলমন্ত্রী বলেননি। মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার পরও না।
