হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
রাজধানীতে জল না পেয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও জল পাচ্ছেন না তাঁরা। প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন এলকায় জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়েও জলের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জল নিয়ে নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন মানুষ। এই ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে আম আদমি পার্টির সঙ্গে বিজেপির চাপানউতোরও চলছে। এসবের মধ্যে দিল্লির ছত্তরপুরে জল বোর্ডের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালালেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ রমেশ বিধুরিও সেখানে হাজির ছিলেন। যদিও ভাঙচুরের দায় অস্বীকার করেছেন তিনি। সাফাই দিয়ে বিধুরি বলেন, ‘জল না পেলে মানুষ যা খুশি তাই করতে পারেন। বরং বিজেপি সমর্থকরা সকলকে সামলে রেখেছিল।’
আপের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জলসঙ্কট নিয়ে বিজেপির নির্বাচিত সাত সাংসদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর তারপরই রবিবার পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ কমলজিৎ শেরাওয়াত নজফগড়ে ‘মাটির পাত্র ভাঙা’ বিক্ষোভে শামিল হন। পাল্টা বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন আপ সরকারের মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে জলের পাইপে ভাঙচুর করছে কারা? এনিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এদিন দিল্লির জল বোর্ডে তাণ্ডবের একটি ভিডিও পোস্টও করেছে আপ। এদিকে, এরইমধ্যে এই সঙ্কট নিয়েও ধর্মীয় বিভাজনের পথে হাঁটলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, ‘জল বণ্টন নিয়ে দ্বিচারিতা করছে আপ সরকার। হিন্দু এলাকা বাদ দিয়ে মুসলিম অধ্যুষিত স্থানে জল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে।’ মিশ্রের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন আপ বিধায়ক আব্দুল রহমান। তিনি বলেন, বিজেপি নেতার মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। জল-বাতাসের উপর সবার সমান অধিকার। এনিয়ে বিভাজন করা উচিত নয়।