হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
চাপের মুখে পড়ে সুর বদলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এনটিএ-র কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু রবিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, দুটি জায়গায় অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো, গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জন পড়ুয়ার ফের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি এনটিএ-র কোনও শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডাক্তারির জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু হওয়ার সময়েই এর সমালোচনা করেছিল ডিএমকে। এবার এই পরীক্ষার স্বচ্ছতা নষ্টের জন্য ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-কে দায়ী করেছে দক্ষিণের এই দল। নিট সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে এই এনটিএ। ডিএমকের দাবি, এত বড় দুর্নীতির পরও কেন্দ্র শুধু দর্শক হয়ে রয়েছে আর কোচিং সেন্টারগুলিকে মদত দিয়ে যাচ্ছে।
নিট-দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন চুপ করে আছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা। রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, নিট দুর্নীতির ফলে দেশের ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী ও তাদের পরিবার বিধ্বস্ত। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী যেভাবে নিট নিয়ে উদ্ধত জবাব দিচ্ছেন, তাতে পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের কান্না তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। নিটের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও।
বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রশ্ন, বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্র বিভিন্ন এজেন্সিকে তদন্তে নামিয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। অথচ নিট নিয়ে চুপ কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পরীক্ষার দুর্নীতির তদন্তও দাবি করেছেন ব্রাত্য। একইসঙ্গে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা ফের রাজ্যের হাতে ফেরানোর দাবিও করেছেন তিনি। ইন্ডিয়ার অন্যতম শরিক আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সবর হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র ও যে যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস অনিবার্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।