মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এই অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শনিবার সন্ধ্যায় রাজকোটের নানা-মাভা এলাকায় টিআরপি গেমিং জোনে আগুন লাগে। সপ্তাহের শেষে সেখানে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। দাহ্য পদার্থ থাকায় মুহূর্তের মধ্যে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদের মধ্যে অন্তত ন’জন শিশুও রয়েছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কয়েক কিমি দূর থেকেও লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ওই গেমিং জোনের মালিক যুবরাজ সিং সোলাঙ্কি ও ম্যানেজার নীতিন জৈনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আগুন লাগার তদন্ত শুরু হতেই ওই গেমিং জোন নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। অগ্নিবিধি সংক্রান্ত লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল ওই গেমিং জোন। এছাড়া সেখানে পেট্রল, ফাইবার, ফাইবার গ্লাসের শিটের মতো বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ মজুত করা ছিল। আগুন লাগার পর ওই দাহ্য পদার্থ আগুনের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি সেখানে ঢোকার জন্য একটিমাত্র প্রবেশপথ ছিল। আগুন লাগার পর গেমিং জোনের অস্থায়ী কাঠামো সেই পথের সামনে ভেঙে পড়ায় অনেকেই আর বাইরে আসতে পারেননি। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, উইকেন্ড অফার হিসেবে শনিবার মাত্র ৯৯ টাকায় গেমিং জোনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল। ফলে আরও বেশি মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগেছে বলে মনে করা হলেও নির্দিষ্ট কারণ তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন দমকলের এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে পড়ায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে প্রশ্ন উঠেছে, অগ্নিবিধি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট ছাড়া কীভাবে এত বড় গেমিং জোন চলছিল? স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এই নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রাজকোটের মেয়র নয়না পেধাদিয়া। এই দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার আবেদনও করেছেন তিনি।
রাজকোট পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার বিনায়ক প্যাটেল জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে কয়েকজনের দেহ এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে যে সেগুলি আর চেনার উপায় নেই। পরিচয় জানার জন্য মৃতদের পরিবারের সদস্যদের থেকে ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি দ্রুত পরীক্ষার জন্য জামনগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য রাজকোট পুলিসের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। গুজরাত সরকারের তরফেও পাঁচ সদস্যের একটি আলাদা সিট গঠন করা হয়েছে। ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা সহায়তার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যান তিনি।