শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
সোমবার রাজধানী দিল্লিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড সেনসাস কমিশনারের নয়া ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বহুমুখী কাজের উপযোগী একটি মাত্র পরিচয়পত্রের পক্ষে জোর সওয়াল করেন। ডিজিটাল সেনসাস দেশে বিপ্লব আনবে জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আধার, পাসপোর্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ডের ক্ষেত্রে কেন আমাদের একটি কার্ড থাকবে না? এমন একটা ভাণ্ডার তৈরি হওয়া উচিত, যেখানে একটি কার্ডের যাবতীয় তথ্য রাখা থাকবে। এর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই ডিজিটাল সেনসাস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’
২০২১ সালের সেনসাসের জন্য কাজ শুরু হবে ২০২০ সালের ১ অক্টোবর থেকে। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের মতো তুষারপাত প্রবণ এলাকায় তা হবে ২০২১ সালের ১ মার্চ থেকে। সারাদেশের ১৬টি ভাষায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে করা হবে এই জনগণনা। দেশের ভবিষ্যৎ, উন্নয়নমূলক কাজ এবং জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য ২০২১ সালের এই জনগণনার তথ্যই হবে মূল ভিত্তি বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ‘১৩০ কোটি ভারতবাসীকে জনগণনার উপকারিতার কথা বোঝাতে হবে। জনগণনার সেই তথ্য লোকসভা, বিধানসভা ও পুরসভার ওয়ার্ড বিন্যাসের পাশাপাশি দেশের অগ্রগতিতেও অবদান রাখবে।’
এরপরেই এবারের সেনসাসে কাগজ-কলমের দিন শেষ বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সেনসাসের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই প্রথম কোনও সেনসাসে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার হবে। কাগজ-কলমে সেনসাসের দিন শেষ, যা সেনসাসের কাজে বড় বিপ্লব আনবে।’ এ প্রসঙ্গে সেনসাসের সঙ্গে যুক্ত কর্মী-আধিকারিকদের অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সেই ‘পবিত্র’ কাজ করার আর্জি জানিয়েছেন অমিত শাহ। অতীতে সরকার জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নেওয়ার সময় কোনওরকম পরিকল্পনা করত না, কিন্তু, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা দখলের পর থেকে তা বদলে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অমিত শাহ বলেন, ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে ২২টি কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছিল মোদি সরকার। তার মধ্যে রয়েছে, ব্যাঙ্কে খাতা খোলা, প্রত্যেকের জন্য বাড়ি, গ্যাসের সংযোগ, রাস্তা তৈরি, শৌচালয় প্রভৃতি। ২০১১ সালের সেনসাসে লিঙ্গ বৈষ্যমের যে চিত্র উঠে এসেছিল, তার জেরেই মোদি সরকার ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ যোজনা চালু করেছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরেই ‘উজ্জ্বলা’ যোজনার সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, ‘২০২২ সালের মধ্যে গ্যাস সংযোগহীন কোনও পরিবার আর দেশে থাকবে না।’ এই প্রসঙ্গে হরিয়ানা সরকারের প্রশংসা করেন তিনি।
তবে শুধু জনগণনার কাজই নয়, সেই তথ্য সংগ্রহের সঙ্গে নেওয়া হবে এনপিআরের তথ্যও। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি তথ্যের দেশব্যাপী ভিত্তি হল এই এনপিআর। প্রসঙ্গত, ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী নাগরিকদের তালিকা হল, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার।