শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় মুসলিম হত্যার বদলা নিয়ে বিরাট ষড়যন্ত্র হয়েছিল গুজরাতে। জঙ্গি হামলার পাশাপাশি কয়েকজন হিন্দু সংগঠনের নেতাকে হত্যার ছক ছিল। যদিও পুলিসি তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৩৪ জন বেপাত্তা।
সহকারী পুলিস কমিশনার বি ভি গোহিল জানান, আমেদাবাদের জুহাপুরা এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ আবদুল দীর্ঘদিন ধরেই গা ঢাকা দিয়েছিল। এদিনই সৌদি আরব থেকে সে গুজরাতে ফিরে আসে। বিমানবন্দরেই তাকে আটক করে সন্ত্রাস-দমন শাখা (এটিএস)। তিনি আরও জানান, ১৯৯৯ সাল থেকে সৌদি আরবের বাসিন্দা ইউসুফ আবদুল বস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গায় মুসলিম হত্যার বদল নিয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে মিলে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করে। জঙ্গিদের টাকা থেকে সবরকম সাহায্য করত ওই ব্যক্তি। ২০০২ সালে শেষবার গুজরাত এসেছিল। এদিন আমেদাবাদে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে ইউসুফ আবদুল। পুলিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধৃত ‘জঙ্গি’র কাজ ছিল মূলত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির জন্য সৌদি আরবে টাকা জোগাড় করা। সেই টাকা তার ভাই আবদুল মাজিদ এবং আর এক ব্যক্তি আবদুল গুলাম আলির হাত দিয়ে গুজরাত পৌঁছত। সেই টাকা গুজরাতের মন্ত্রী হরেন পাণ্ডিয়ার হত্যার মাথা কট্টরপন্থী মুফতি সুফিয়ানার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ত। গুজরাতের মন্ত্রীর হত্যার পিছনে ইউসুফ আবদুলের ভূমিকা ছিল বলে পুলিসের সন্দেহ। গুজরাত দাঙ্গার পর জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র মামলায় ইউসুফ সহ মোট ৬৪ জনের নাম পুলিসের খাতায় ওঠে। যার মধ্যে ৩৫ জন এখনও নিখোঁজ।