কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
মার্সিডিজ-বেঞ্জ জিএলই ছেড়ে উৎসাহী ভিড়ের কাছে গেলেন হেমা। ছত্রধর অনুসরণ করলেন অভিনেত্রী-প্রার্থীকে। মথুরা লোকসভা কেন্দ্রের বড় অংশই গ্রামীণ এলাকা। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে আরএলডি প্রার্থী জয়ন্ত চৌধুরীকে তিল লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন হেমা মালিনী। এবারও তারকা প্রার্থীর উপরই ভরসা রেখেছেন মোদি-অমিত শাহরা।
তারকা প্রার্থীর এই ক্রেজের মধ্যেই কানাঘুঁষো ঘুরছে বিভিন্ন অভিযোগ। গত পাঁচ বছরে নাকি সেলিব্রিটি সাংসদের দেখাই মেলেনি। যদিও তা মানতে নারাজ ৭০ বছরের ‘তরুণী’ হেমা। ঠান্ডা পানীয়ে একটা চুমুক দিয়ে বললেন, মথুরায় ২৫০ বার এসেছি। সিনেমার শ্যুটিংয়ের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ের তফাৎ কোথায়? তারকা প্রার্থীর চটজলদি জবাব, দু’টিই কঠিন। কোনওটাই গোলাপের শয্যা নয়। কিছু পাওয়ার জন্য কঠিন পরিশ্রম জরুরি। হেমার দাবি, মথুরার জন্য যা কাজ করেছি, তাতে আমি গর্বিত। রাস্তার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছি। প্রত্যেককে খুশি করা সম্ভব নয়। মানুষকে কষ্টে দেখলে চোখে জল চলে আসে। প্রচারের ফাঁকে ‘সমব্যথী’ হেমাকে মার্সিজিড ছেড়ে ট্রাক্টরে চাপতেও দেখা গেল।
প্রচারে বেরিয়ে হেমা মালিনীর বিভিন্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে কাস্তে হাতে গম কাটার ছবি নিয়ে। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিছু নিন্দুক লিখেছেন, অভিনয়টা ভালোই হয়েছে! কিন্তু এসব সমালোচনাকে এক বিন্দুও পাত্তা দিচ্ছেন না হেমা। তাঁর বক্তব্য, আমি একজন অভিনেত্রী, একজন সেলিব্রিটি। মুম্বইয়ে এই গ্রামীণ পরিবেশ পাই না। গ্রামে গেলে সেই পরিবেশ ভালো লাগে। যদি অভিনয়ও হয়, তা সত্ত্বেও তা মজার। দোষের কী? ওই ছবি দেখে মুম্বইয়ে সবাই খুশি হয়েছে। খুব খুশি হয়েছেন ধর্মেন্দ্রজি। তিনি বলেছেন, খুব সুন্দর লাগছিল।
মথুরায় কংগ্রেস প্রার্থী করেছে নতুন মুখ মহেশ পাঠককে। আর হেমা মালিনীর বিরুদ্ধে এসপি-বিএসপি জোটের প্রার্থী কানওয়ার নরেন্দ্র সিং। নরেন্দ্র সিংয়ের দাদা তথা মথুরার প্রাক্তন এমপি মানবেন্দ্র সিং আবার সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। হেমা প্রসঙ্গে বিরোধী শিবির থেকে প্রচার করা হচ্ছে, ‘বহিরাগত’ সাংসদকে খারিজ করা উচিত মথুরার। যদিও হেমার জবাব, পাঁচ বছর ধরে কি ঘুমাচ্ছিলাম? বৃন্দাবনে আমার একটি বাড়ি রয়েছে। সেটা বড় ব্যাপার।
মথুরা আসনটি ১৯৯১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজেপির দখলে ছিল। ২০০৪ সালে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে এই আসনে জেতেন মানবেন্দ্র সিং। পরের লোকসভা ভোটে জেতেন জয়ন্ত চৌধুরী। গতবার তাঁকে হারিয়েই বিজেপির টিকিটে লোকসভায় যান হেমা। মথুরায় ভোটগ্রহণ আগামী ১৮ এপ্রিল। ড্রিমগার্লের হাত ধরে এবারও কি মথুরায় পদ্ম ফুটবে? ২৩ মে পর্যন্ত সেই জবাবেরই অপেক্ষায় উত্তরপ্রদেশের এই তীর্থভূমি।