হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ের ১২ লক্ষের মধ্যে মাত্র ১৮ হাজার ২৪৯ জনকে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া এখনও চলছে। এঁদের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যা, ভূমিহীন উপভোক্তা, যাচাই পর্বের পরে উপভোক্তার অন্যত্র চলে যাওয়া বা মৃত্যুর কারণে উত্তরাধিকারী নির্দিষ্ট হওয়ার মতো সমস্যার কারণে বেশ কিছুজনকে এখনই টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে বাকি ১৬ লক্ষের তালিকা থেকে গোটা রাজ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার উপভোক্তাকে শীঘ্রই টাকা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। শুক্রবার প্রত্যেক জেলার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের নোডাল অফিসারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের পদস্থ কর্তারা। সেখানেই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ১৬ লক্ষের সকলেই ‘পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে’ (পিডব্লুএল) থাকা উপভোক্তা। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘একজন উপভোক্তাও বঞ্চিত হবে না। টাকা যাতে অকারণে পড়ে না থাকে, তার জন্যই এই উদ্যোগ।’
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ১৬ লক্ষকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা দিতে প্রায় ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। এর আগে ১২ লক্ষ উপভক্তোকে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে দিতে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজ্যের। কিন্তু কেন এত তড়িঘড়ি পরবর্তী তালিকা থেকে উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করতে হল রাজ্যকে? প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা ট্রেজারির মাধ্যমে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। ফলে চলতি অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগে জেলা ট্রেজারি থেকে টাকা পাঠানো বাকি থাকলে তা ফেরত যাবে রাজ্যের কোষাগারে বা অর্থদপ্তর পরিচালিত ‘কনসলিডেট ফান্ড অব দি স্টেট’-এ। তখন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন অর্থবর্ষের বাজেট তৈরির পর একাধিক ধাপ পেরিয়ে নতুনভাবে বরাদ্দ হবে সেই টাকা। ফলে যে টাকা ইতিমধ্যে জেলায় পাঠানো হয়েছে, তা যাতে কোনওভাবে ফেরত না আসে, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে নবান্নকে।