হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই গেরুয়া পার্টির গোপন পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনে বাজেট অধিবেশনে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্র ও দিল্লির মতো বুথ স্তরে ‘ভুয়ো ভোটারে’র অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে (মাইক্রোম্যানেজ) কারচুপির ছক কষছে একটি ‘ভূতুড়ে পার্টি’। ব্যাপক মাত্রায় বহিরাগতদের নাম ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে বুথস্তর থেকে ফলাফল নিজের পক্ষে করতে মরিয়া তারা। তার পরপরই এরাজ্যে প্রকাশ্যে আসে চম্পাহাটির ঘটনা। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, ভোটার তালিকার কাজ সরাসরি নির্বাচন কমিশনের বিষয় হলেও, নবান্নের তরফে জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সতর্ক করে দেওয়া হল।
এদিন বিকেলে একাধিক দপ্তরের সচিব সহ সমস্ত জেলাশাসকদের নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এই বৈঠকেই রাজ্যের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। আবার নদীয়ার হাঁসখালির বগুলায় জন্ম হারের কয়েকগুণ বেশি জন্ম শংসাপত্র ইস্যু হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে। এই ঘটনার রেশ ধরেই জন্ম মৃত্যু শংসাপত্র ইস্যু করার ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
‘ভূতুড়ে ভোটার’ সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘জালিয়াতি শিল্প আয়ত্ত করেছে তৃণমূল। জাল ভোটার, নির্বাচনে কারচুপি আর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে তৃণমূলই।’ সুকান্তের বক্তব্য খণ্ডন করে তাঁকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকে নিয়ে কুৎসা, মিথ্যাচার করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে ভোটার তালিকায় কারসাজি সামনে চলে এসেছ। ভোটার তালিকায় কারচুপি করেই বাংলায় ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে বিজেপি।’