হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
দলেরই একাংশ বলছে, হবে না-ই বা কেন? কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক পর্যালোচনা রিপোর্টে ‘হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে লড়াই’ শীর্ষক অংশে ধর্মবিশ্বাসীদের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির পক্ষে ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে টেনে আনার জন্য সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। কীভাবে? বলা হয়েছে, দর্শনের ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল ঐতিহ্য ও ধর্ম সংস্কারকদের ভূমিকা তুলে ধরতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই কি তবে সম্মেলন স্থলে শ্রীরামকৃষ্ণ? নাকি ধর্মকে আর প্রত্যক্ষভাবে অস্বীকার করছে না লালপার্টি? সিপিএম নেতাদের বক্তব্য, হুগলি জেলার নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে জনাইয়ের মনোহরার উল্লেখও রয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিতে সবধর্মের সমন্বয় রয়েছে এখানে। এদিন শহিদ বেদিতে মাল্যদানের সময় ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে তোলার বদলে প্রণাম করতে দেখা যায়। এও কি ধর্মবিশ্বাসীদের বার্তা? উঠছে প্রশ্ন।
এদিন সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণ দেন পলিট ব্যুরোর সমন্বয়ক প্রকাশ কারাত। তিনি বলেন, ‘ভারতে আরএসএস ও বিজেপির বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারের উদ্দেশ্য সেখানকার সংখ্যালঘুদের বাঁচানো নয়। বরং ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের আক্রমণ করা।’ তিনি সিপিএমকে স্বাধীন শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে জোর দিতে বলেন। পশ্চিমবঙ্গে তরুণদের আন্দোলনে আনা গেলেও দলে আনা যায়নি বলে মেনে নেন তিনি। সম্মেলনে খসড়া রাজনৈতিক সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন বিদায়ী রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নতুন প্রজন্মের কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সময়ের উপযোগী পার্টি সংগঠন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে রাজ্য সম্মেলনের সূচনা করেন বিমান বসু। উপস্থিত ছিলেন পলিট ব্যুরো সদস্য মানিক সরকার, বৃন্দা কারাত, সূর্যকান্ত মিশ্র, এম এ বেবি, রামচন্দ্র ডোম প্রমুখ। সম্মেলনের এলাহি আয়োজনে অবশ্য কোনও খামতি রাখেনি সিপিএম। যা দেখে নিন্দুকদের প্রশ্ন, বুঝতেই পারছি সংগঠনকে উদ্বুদ্ধ করতে এত আয়োজন। কিন্তু গ্রামে গ্রামে এই বার্তা যাবে কি? ভোটবাক্সে কি আদৌ কোনও প্রভাব পড়বে? নিজস্ব চিত্র