হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া এ বছর নির্বিঘ্নই ছিল মাধ্যমিক। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, পুলিস, জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে, টুকলির হাইটেক বন্দোবস্তে বেশ চমকে গিয়েছেন পরীক্ষার আয়োজনে নিযুক্ত শিক্ষক থেকে পর্ষদের আধিকারিকরা। দেখা গিয়েছে, ধরা পড়া ছাত্রটি একটি নির্দিষ্ট অ্যাপে গণিতের সমস্যাটি পাঠিয়েছে। সেখান থেকে একেবারে ধাপে ধাপে অঙ্কটি কষে পাঠানো হয়েছে। মোবাইল ঠেকানো গেলে অবশ্য সমস্যাটির সমাধান হয়। তবে, এক পর্ষদ কর্তা স্বীকার করেন, ১৫-১৬ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের খুব কড়াভাবে তল্লাশি করাও কঠিন। বিষয়টি অন্যদিকে গড়াতে পারে। তাই পরিদর্শকদের হলে অনেক বেশি সজাগ এবং তৎপর থাকতে হবে। তবে, পর্ষদ বিশেষ কৌশল নেওয়ায় এ বছর প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার একটি ঘটনাও ঘটেনি।
প্রসঙ্গত এ বছর ১৯টি ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন এবং একটি ক্ষেত্রে স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে ধরা পড়ায় ২০ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। ছাত্রীরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। তবে, এই সংখ্যাটা গতবারের তুলনায় অর্ধেকের কম। ২০২৪ সালের পরীক্ষায় ৪৩ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল। এর জন্য পর্ষদ সভাপতি কৃতিত্ব দিচ্ছেন নিয়মিত প্রচার এবং শিক্ষকদের নজরদারিকে। তবে, বৃহস্পতিবারের দুর্যোগ বহু জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র হওয়া স্কুলগুলির পরিকাঠামো নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এক পর্ষদ আধিকারিক বলেন, আগামী বছর কেন্দ্র করার ক্ষেত্রে বিষয়গুলি মাথায় রাখা হবে। পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকা ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং টিমের কাছেও (ডিএমটি) বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে। ঐচ্ছিক বিষয়ের বই এবং সিলেবাস শেষ মুহূর্তে পাওয়া এবং কিছু বিষয়ে একেবারেই বই না থাকার বিষয়টি নিয়ে শনিবার বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে সরব হয়েছেন অভিভাবকদের একটা বড় অংশ।