বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স বা রোপা ২০১৯ রুল অনুযায়ী, বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার শিক্ষকদের পৃথক ‘স্যালারি সেল’-এ রাখা হয়। প্রতিটি সেলে ইনক্রিমেন্টের সংখ্যা নির্দিষ্ট। সেটা অতিক্রম করে গেলে আর ইনক্রিমেন্ট পেতেন না সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা। এটাকে বলা হতো ‘স্ট্যাগনেশন লেভেল’। পুরোপুরি সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের অবশ্য এই পর্যায়ের পরে পৃথক অর্ডার জারি করে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। এবার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকরাও সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে একই শ্রেণিভুক্ত হয়ে গেলেন। অর্ডারে বলা হয়েছে, স্ট্যাগনেশনের পরেও পে ম্যাট্রিক্সের নির্দিষ্ট স্তরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যে চূড়ান্ত বেতন পেতেন, তার উপরে আরও ছ’টি ইনক্রিমেন্ট পাবেন। তবে, বর্ধিত বেতন কোনওমতেই ২ লক্ষ ১ হাজার টাকার সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। সেটা অবশ্য এই সীমায় পৌঁছনো শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এমনিতেও সম্ভব নয়।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘আমার আগের স্কুলের এক সহকর্মী দু’বছর ধরে একই বেতন পাচ্ছিলেন। তাঁর জন্য শিক্ষাদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়। বিকাশ ভবন এই সমস্যাটির সমাধান করায় এমন অনেক শিক্ষকই উপকৃত হবেন।’ অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন গড়াই বলেন, ‘দু’বছর আগেও অনার্স/পিজি স্কেলের শিক্ষকদের সেল লস নিয়ে বিকাশ ভবনে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এই অর্ডারে সেই বঞ্চনা আংশিক ঘুচল।’ প্রধান শিক্ষক সংগঠন এসএসএফএইচএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দাবিপূরণে সক্ষম হলাম। এতে বহু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী উপকৃত হবেন।’ সরকারপন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতারা বলছেন, নতুন বছরে এটা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উপহার। কয়েক হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী এর ফলে উপকৃত হবেন। অনেকে অবসরের দোরগোড়ায়। তাঁরাও বাড়তি ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত হবেন না। শুধুমাত্র প্রবীণ শিক্ষকই নন, যাঁরা কম বয়সে নতুন শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, তাঁরাও এই অর্ডারের ফলে আশ্বস্ত হলেন। এতে সব মিলিয়ে বেতন অনেকটাই বাড়বে। তাঁদের দাবি, এর পাশাপাশি বিভিন্ন ‘বেনিফিট’ নিয়ে কিছু অসঙ্গতি ইতিমধ্যেই দূর রয়েছে। বাকিগুলিও দ্রুত দূর করবে সরকার।